নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর আত্রাইয়ে এক ভন্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের পবনডাঙ্গা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের আহম্মদ আলী (৫০) দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থতায় ভুগছেন। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন পার্শবর্তী জয়সাড়া গ্রামের শাহাদ আলী (৫০) ওরফে শাধু কবিরাজি মতে চিকিৎসা করেন। আহম্মদ আলী তার স্মরানাপন্ন হলে তিনি বলেন, তিন দিন গভীর রাতে সাত ঘাটের পানি সংগ্রহ করতে হবে। আর এই পানি আনতে হলে আমার সঙ্গে যাবে কেবলমাত্র তোমার স্ত্রী। ভন্ড কবিরাজের কথা মত স্বামীর চিকিৎসার স্বার্থে আহম্মদের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪০) প্রথম দিন রাতে তার সঙ্গে গিয়ে পানি নিয়ে আসে।
দ্বিতীয় দিনে গত মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে কবিরাজ আবারও গৃহবধূ নাজমাকে সঙ্গে নিয়ে সাত ঘাটের পানি আনতে যায়। এ সময় পথিমধ্যে ওই কবিরাজ জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। গৃহবধূ লোকলজ্জায় কথাটি কাউকে বলতে না পারলেও বৃহস্পতিবার রাতে ওই কবিরাজ আহম্মদের বাড়িতে গিয়ে আসন বসিয়ে আবারও গভীর রাতে গৃহবধূকে নিয়ে একটি জঙ্গলে তবারক দিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ সময় ওই গৃহ বধূ ভন্ড কবিরাজের সঙ্গে যেতে অসম্মতি জানায় এবং আগের রাতের ঘটনাটি প্রকাশ করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে লোকজন ভন্ড কবিরাজকে আটক করে রাখে। শুক্রবার সকালে গ্রামবাসী তাকে আত্রাই থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
আত্রাই থানার ওসি বদরুদ্দোজা বলেন, কবিরাজকে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। বাদি মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
