অনলাইন রিপোর্টার ॥ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টের মূল প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণের কাজ শুরুর আগে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদকদের ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এরপর বিকালে সব বিচারকদের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি।
রোমান যুগের ন্যায বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে এই ভাস্কর্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হলে গত বছর হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন তার বিরোধিতায় নামে। হেফাজতে ইসলামের দাবিতে সরকার প্রধানও সায় দেওয়ার পর মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টের ঢোকার পথে লিলি ফোয়ারায় স্থাপিত হাতে তলোয়ার ও দাঁড়িপাল্লা ধরা নারীর ভাস্কর্যটি অপসারণের কাজ শুরু হয়।
ভোরের আগে কাজটি শেষ হওয়া পর্যন্ত সেখানে তদারকিতে ছিলেন ভাস্কর্যটির শিল্পী মৃণাল হক। তিনি শুধু বলেছেন, ‘চাপের মুখে’ ভাস্কর্যটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভাস্কর্যটি সরানোর পক্ষে মত আসে, এরপর ফুল কোর্টেও একই মত আসে।