ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহিদুল ইসলাম

আজব হলেও গুজব নয় ॥ ওজন কমালেই পুরস্কার

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৬ মে ২০১৭

আজব হলেও গুজব নয় ॥ ওজন কমালেই পুরস্কার

সুস্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত ওজন কমাতে সবাই চায়। এ জন্য কত রকমই না শারীরিক কসরত করতে হয়। কিন্তু ভাবুন তো সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ওজন কমানোর জন্য যদি বাড়তি অর্থও পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়! সম্প্রতি ওজন কমালেই পুরস্কার হিসেবে ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়ে খবর এসেছেন চীনের এক অফিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ওয়াং জুবাও নামের এই ব্যক্তি উত্তর-পশ্চিম চীনের সাংসি প্রদেশের জিয়ান শহরে একটি বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তার অফিসের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তারা যদি তাদের ওজন কমায় তাহলে প্রতি ১ কিলোগ্রাম ওজন কমানোর জন্য ১৫ মার্কিন ডলার করে পুরস্কার দেয়া হবে। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য এমন অদ্ভুত ঘোষণা কেন দিলেন? সিএন ওয়েস্ট পত্রিকার করা এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াং জুবাও বলেন, ‘আমিসহ আমার প্রতিষ্ঠানে যারা কমর্রত অধিকাংশ সময়ই আমরা বসে কাজ করি। ফলে আমাদের হাঁটাচলার সুযোগ খুব একটা হয়ে ওঠে না। এতে করে আমদের প্রত্যেকের স্থূলতা বেড়ে যাচ্ছে যা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। ওজন কমানোর জন্য পুরস্কারের এই ঘোষণার মাধ্যমে আশা করি আমরা একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে পারব।’ গত মার্চ মাসে পুরস্কারের ঘোষণা দেয়ায় পর তার অফিসের অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। মাসিক পুরস্কারের আশায় তারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাচ্ছেন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অফিসের প্রায় অর্ধেক কর্মী নিজেদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন এবং তারা এখন অনেকই আগের তুলনায় বেশ ভাল আছেন। জু উই নামের এক নারী কর্মকর্তা গত এক মাসে ওজন কমিয়েছেন ২০ কিলোগ্রাম এবং পুরস্কার হিসেবে জিতে নিয়েছেন ৩০০ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৪ হাজার টাকা। নিজের এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জু উই বলেন, ‘পুরস্কারের ঘোষণা দেয়ার আগে আমি সব কিছুই খেতাম। তবে এখন আমি মাশরুম ও ডিমের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খাই।’ চীনা মিডিয়াকে দেয়া আরেক সাক্ষাতকারে ওয়াং জুবাও বলেন, ‘আমি যা আশা করেছিলাম ফল তার থেকে বেশি পেয়েছি। তবে আমি নিজে এখনো পুরস্কার জিততে পারিনি। কারণ, আপনি যখন বেশি স্থূল হবেন তখন তা কমাতেও সময় লাগবে।’ ওয়াং জুবাওয়ের এই ঘোষণা এমন সময় এসেছে যখন গোটা চীনে স্থূলতা একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০৩০ সাল নাগাদ চীনে প্রতি চারজন শিশুর এক জন স্থূলতা সমস্যায় ভুগবে।
×