ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনোত্তর সহিংসতা

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা সহ-সভাপতি নিহত

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৬ মে ২০১৭

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা সহ-সভাপতি নিহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নড়াইলে ইউপি নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিহত হয়েছেন। এদিকে, মেহেরপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওয়ার্ড সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। দুটি ঘটনাই বৃহস্পতিবার সকালের। খবর নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতার পাঠানো। জানা গেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মোফাজ্জেল হোসেন (৫০) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোফাজ্জেল কালিয়ার পেড়লী গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মে নড়াইলের পেড়লী ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ জারজিদ মোল্যা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পেড়লীর মহসিন মোড় এলাকায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পাঁচজন আহত হন। পরে নৌকার সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মোফাজ্জেল হোসেন, তার ছেলে সাদ্দাম ও ভাই শামীমসহ ১০ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে মোফাজ্জেল হোসেন মারা যান। আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেহেরপুর ॥ গাংনীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ষোলটাকা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেনকে (৩৮) রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় কামাল হোসেনের ভাই কফিল উদ্দীন (৪২) মারাত্মক আহত হয়েছেন। আহত কফিল উদ্দীনকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল ষোলটাকা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ও ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার জোয়ার্দ্দারের ছেলে। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেড় কাঠা অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে কামাল হোসেনের বড় ভাই আব্দুল হান্নানের জামাতা একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের। সকালে জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্য কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে গাংনী থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় তার ভাই কফিল উদ্দীন ঠেকাতে গেলে তাকেও রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। কামাল হোসেন ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সজিব উদ্দীন স্বাধীন জানান, কামাল হোসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
×