অনলাইন ডেস্ক ॥ পুলিশের সদরদফতর অভিমুখে বিজেপি সমর্থকদের পূর্বঘোষিত অভিযাত্রা ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হল কলকাতা। বিজেপির মিছিলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ব্যাপক লাঠিচার্জ,টিয়ার গ্যাস মেরে পুলিশি তাণ্ডবের পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।
কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নূরার রহমান বরকতীর বিরুদ্ধে দেশবিরোধী মন্তব্যের অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের সদরদফতর অভিমুখে যাত্রা করে বিজেপি সমর্থকরা। এদিন পুলিশের লাঠিচার্জ ও বোমা বিস্ফোরণে আহত হন শতাধিক। পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য দফতরে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগও উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিজেপিসমর্থক বোঝাই তিনটি বাস আটক করা হয়। বেন্টিক স্ট্রিটের দিক থেকে লালবাজারের ঢোকার মুখে প্রায় ৫০ জন কর্মীকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ, এদিন অতর্কিতে প্রায় ৪০-৫০ জন বিজেপি সমর্থক লালবাজারের গেটে পৌঁছে যান।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীর নেতৃত্বে এদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল পৌঁছায় পিয়ার্স লেনে। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেডে বাধা পেতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। আটক করা হয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীকে। মহিলাকর্মীদেরও আটক করা হয়।
প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর সেখানে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় বিজেপি কর্মীরা। এবার জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে নামে র্যাফ। টি বোর্ডের সামনে থেকে আটক করা হয় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে। পরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকেও আটক করে পুলিশ। এদিন সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পুলিশ বিজেপিকর্মী ভেবে সাধারণ যাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। আহত হয় বেশ কয়েকজন যাত্রী। এছাড়া পির্য়াস লেনে পুলিশের একটি জিপে আগুন দেওয়া হয়, ভাংচুর করা হয় পাঁচটি গাড়ি। পুলিশের অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকরা এই কাজ করেছেন।
এদিকে নয়াদিল্লি সফরে থাকা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বলেন, সিপিএম-বিজেপি গোলমাল পাকাচ্ছে, অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, আগুন লাগানো হয়েছে। পুলিশকে ধরে মারা হয়েছে। মহিলারাও বাদ যাননি। রাজ্যে দু'নম্বর ও তিন নম্বর হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। ইস্যু ছাড়াই আন্দোলন, গুণ্ডামি চলছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: