ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মহেশখালী জেটিঘাট সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০০:৪১, ২৫ মে ২০১৭

মহেশখালী জেটিঘাট সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালী দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌ-পথ। কিন্তু এই পথে মহেশখালীতে জরাজীর্ণ একটি জেটিঘাট থাকলেও কক্সবাজার প্রান্তে কোন স্থায়ী ঘাট নেই। ভাটার সময় হাঁটু পানি ও কাঁদাপথ পাড়ি দিয়ে ট্রলার ও স্পীড বোটে উঠতে হয় যাত্রীদের। মহেশখালী জেটি ঘাটটি ১৯৮৯ সালে নির্মিত হলেও এখনও সংস্কার করা হয়নি। এত দুর্ভোগে পড়লেও যাতায়াতকারীরা নিস্তার পাচ্ছে না টোল আদায়কারী চক্রের কবল থেকে। যাত্রী ও মাল থেকে টাকা নিলেও কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না জেটিঘাটের। মহেশখালী বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যাপক মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, নিয়মিত ড্রেজিং ও জেটি সংস্কারের মাধ্যমে এ দুর্ভোগের সমাধান সম্ভব। বর্তমানে মহেশখালীতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে- কিন্তুযাতায়াতের আসল পথ জেটিঘাটের উন্নয়ন হচ্ছেনা। প্রতি বছর এ জেটি থেকে ৩০-৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও জেটি সম্প্রসারণে কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথা নেই বলে অভিযোগ করেন যাতায়াতকারীরা। স্পীডবোটের একাধিক যাত্রী জানান, ভাটা শুরু হলে নেমে আসে দুর্ভোগ। ভাটা শুরুর পর অল্প সময়ের জন্য ডিঙি নৌকা দিয়ে জেটিতে যাত্রী পারাপার করা যায়। ভাটা পূর্ণ জেটি থেকে অন্তত ২’শ গজ দূরে আটকে পড়ে সব ধরনের নৌযান। এসময় কোনও নৌযান ঘাটে ভিড়তে পারে না। এমনকি বিকল্প বাহন ডিঙি নৌকাও চলাচল করতে পারছে না। প্রতিদিন প্রায় ৫ ঘণ্টা এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় মহেশখালী বাসিকে।
×