ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লিয়াকত হোসেন খোকন

দ্রুত আইনে বিচার

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৫ মে ২০১৭

দ্রুত আইনে বিচার

‘রেইনট্রি প্রাসাদে’ ঘটে যাওয়া অপরাধ ও অপকর্মের কাহিনী শুনে সাধারণ মানুষ আরও জানতে আগ্রহী এ রকম কোন কোন প্রাসাদে অপকর্ম হচ্ছে। এ সব অপকর্মের কাহিনী পড়তে পাঠকরা বেশ উৎসাহ বোধ করেন। তবে এর চেয়েও এমন কিছু ঘটনা মাঝে মাঝে আমাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলতে বাধ্য করবে, কিন্তু আর না ঘটার প্রতিশ্রুতি দেবে না কেউ। এই তো বাস্তবতা। কোথায় কি ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটে সেটা আগে ভাগে অভিভাবক এবং পরে প্রশাসনেরই নজরদারি থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। দায়দায়িত্ব নিয়ে তারা আদৌ ভাবেন না হয়ত আর তাইতো ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ করা যায় নি। বখাটে যুবকরা মা-বাবার কাছ থেকে মেয়েকে টেনে নিয়ে কিংবা রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে মেয়েটিকে যদি ধর্ষণ করে তখনই বলা হয়, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ রকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছেই। ধর্ষকদের দ্রুত আইনে বিচার করার ব্যবস্থা নেই বলেই বোধ হয় ধর্ষণ ঠেকানো যাচ্ছে না। গ্রাম বাংলার কত দরিদ্র মা তার মেয়ে ধর্ষিতা হওয়ার কারণে নীরবে দু’চোখের জল ফেলেন। এ রকম বাস্তব কত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে যার অনেক ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ ও প্রচার হয় না। তবে ঘটা করে প্রকাশ ও প্রচার পাচ্ছে ধনীর দুলালদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা। অথচ গ্রাম বাংলার জনপদে ধর্ষণের ঘটনা এভাবে বহুল আলোচনায় উঠে আসে না। কারণ তারা তো দরিদ্র। বাংলার কত দরিদ্র মেয়েরা ধর্ষিতা হওয়ার কারণে দরিদ্র মা কেঁদেই চলছেন। ধর্ষিতা মেয়েটি লজ্জায় অপমানে আকস্মিকতায় বোবা হয়ে গেছে কিনা সে খবর কেউ-ই রাখে না। ধর্ষণের ঘটনার সময় সাধারণদের কেউ সাহায্যের চোখে দেখে না। আবার দেখেও। নইলে ধর্ষিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করেন যাঁরা, তাঁদের কথা না বললে স্বাভাবিক মনুষ্যত্বকে অপমান করা হবে। ধর্ষণের শিকার হলেই অভিভাবকরা নড়েচড়ে বসেন- বিচার চান ধর্ষক তরুণের। অনেক বাবা-মা কোথায় কি করছে ছেলে মেয়েরা সে খবর রাখেনই না। যারা রাখেন তাদের কথা হয়তো উ”ছ্খল ছেলেটি বা মেয়েটি শুনছে না। এর দায় তাহলে কে নেবে ? শুধু প্রশাসন দিয়ে এটা ঠেকানো সম্ভব নয়, অভিবাবকদেরকেই বেশি সচেতন হতে হবে। রূপনগর, ঢাকা থেকে
×