ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি এখন বেপরোয়া ড্রাইভার ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৪ মে ২০১৭

বিএনপি এখন বেপরোয়া ড্রাইভার ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন ইস্যু না পেয়ে বেপরোয়া বিএনপি এখন প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সমালোচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে বিএনপির সব ইস্যু মাঠে মারা যায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মন্ত্রী জানান, সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক ক্যাম্পেন এবং হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহী, মিটারবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। বিমানবন্দর সড়কে এ কার্যক্রম পরিদর্শন করে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, প্রয়োজনে সড়কপথের সৌন্দর্যবর্ধন কাজে সংশোধন আনা হবে। তিনি বলেন, সব প্রবেশপথ, আমার এজেন্ডা রয়েছে এবং আউটসোর্সিং করে আমরা বিউটিফিকেশন করব। ঢাকা-সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ওই রাস্তা, তারপর এদিকে দাউদকান্দি পর্যন্ত। এ কাজটা তো অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য এন্ট্রি পয়েন্টগুলো বিউটিফিকেশন করব। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত প্রথম আরব ইসলামিক আমেরিকান শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জায়গায় খালেদা জিয়ার কথা হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লসিত হতেন বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনকালীন মুসলিমবিরোধী নানা বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘তার (ট্রাম্প) সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে চাই না। পৃথিবীর সব মানুষই জানেন তিনি কী করছেন, কী কথা বলছেন। আজ দুর্ভাগ্য আমাদের, সেখানে আজ এই ট্রাম্প প্রায় সভাপতিত্ব (সম্মেলনে) করছেন বলা যায়। আর সেখানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন।’ এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দাওয়াত দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ, সৌদি আরবের বাদশাহর দাওয়াতে প্রধানমন্ত্রী যাবেন না? যদি আজ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, তাহলে কি মির্জা ফখরুল এ কথা বলতেন? অবশ্যই বলতেন না।’ তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের কোন একটি অনুষ্ঠানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেখানে বিশ্বের ৫০টি মুসলিম দেশ ছিল। এটা নিয়ে বিতর্ক তোলার তো কোন কারণ নেই। আজ তারা যদি ক্ষমতায় থাকত এবং প্রধানমন্ত্রী যদি খালেদা জিয়া থাকতেন আর খালেদা জিয়া এ অনুষ্ঠানে যেতেন, তাহলে এ নিয়ে তারা উল্লসিত, উচ্ছ্বসিত হতেন, তাহলে এখন কেন হতাশা? বিএনপির একটার পর একটা ইস্যু মাঠে মারা যায় দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালি একটার পর একটা ইস্যু খোঁজেন। ইস্যু না পেলেও ইস্যু খোঁজে। তাদের এখন ইস্যু খোঁজা ছাড়া আর কিছু নেই। একটার পর একটা ইস্যু। সব ইস্যু শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা যায়, তারপরও ইস্যু খোঁজে। এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। কোন ইস্যুতে জনগণ সাড়া না দেয়ায় নতুন ইস্যু খুঁজছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন বেপরোয়া গাড়ির বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো হয়ে গেছে। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। সেটাই আমাদের জন্য আতঙ্ক। এ সময় দেশের চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশি নিয়ে দলটির নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করতে ওই কার্যালয় থেকে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি।
×