ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়া

বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের নামে গাছ কাটার হিড়িক

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৪ মে ২০১৭

বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের নামে গাছ কাটার হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৩ মে ॥ বেড়িবাঁধ মেরামতের নামে চলছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রাচীন ছইলা-কেওড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার হিড়িক। পশ্চিম মধুখালী বেড়িবাঁধ মেরামত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এসব গাছ নিধনের চিহ্ন। পৌনে এক কিমি বাঁধের মাটি কাটার জন্য প্রায় এক শ’ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বন বিভাগ কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি। স্থানীয়রা জানান, ভেকু মেশিনে মাটি কাটার ফলে এ গাছগুলো মারা পড়ছে। জঙ্গলে উপড়ে পড়া গাছ পড়ে আছে। যা কেটে কেটে আবার সাইজ করা হচ্ছে। চুরি করে নিয়ে গেছে অনেক গাছ- এমনও অভিযোগ রয়েছে। শুধু পশ্চিম মধুখালী নয় এভাবে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্যান্য এলাকায় একই দৃশ্য। পশ্চিম মধুখালী গ্রামের বেড়িবাঁধের বাইরের বাসিন্দা মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, লেবার দিয়ে মাটি কাটালে একটি গাছও কাটা লাগত না। বাঁধ মেরামত কিংবা পুনরাকৃতির কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার সহজতর পদ্ধতিতে ভেকু মেশিনে মাটি কাটায় বন বিভাগের গাছগুলো কাটা পড়ছে। অথচ লেবার দিয়ে মাটি কাটালে গাছগুলো যেমন রক্ষা হতো, তেমনি শ্রমজীবীরা পেত কর্মসংস্থান। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, পাউবোর উদ্যোগে ৪৭/৩ ও ৪৭/৪ নম্বর পোল্ডারের ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ (রক্ষণাবেক্ষণ) কাজ চলছে। মোট ১২ ঠিকাদার এ কাজগুলো করছেন। মোরেলগঞ্জে মাছ চাষের নামে রাস্তা কাটছে প্রভাবশালীরা স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জ-রামপাল ও মংলা এলাকায় মাছ চাষের নামে কতিপয় প্রভাবশালী জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের ক্ষতি করে মৎস্য ঘেরে পানি নামাচ্ছে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে জনদুর্ভোগের। সরেজমিনে দেখা গেছে, মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়নের দুই কিলোমিটার লম্বা সড়কটিতে ৭-৮টি নালা কেটে গোটা সড়কের মারাত্মক ক্ষতি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের এসব বিষয়ে কোনই নজরদারি নেই। ঘেরের পানি ওঠানামা করাতে এই সড়কটিতে চারটি কালভার্ট থাকলেও এই এলাকার ঘের ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে ইট সোলিং এই সড়কে নালা কেটে গোটা সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলেছেন। সড়কটিতে ভ্যান, রিক্সা এমনকি মোটরসাইকেল চলাচলেরও পরিবেশ নেই। প্রতিদিন এই সড়ক থেকে দুটি কলেজ, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি ও তিনটি মসজিদে যাতায়াতকারীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সূর্যমুখী গ্রাম থেকে শুরু করে এই সড়কটি শেখপাড়া, ততুলবাড়িয়া হয়ে মিলেছে উপজেলা সদরের সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ফোরকান আকন প্রিন্স বলেন, প্রভাবশালী ঘের ব্যবসায়ীরা বাধা উপেক্ষা করে তাদের সুবিধামতো নিজ নিজ ঘেরের সামনে থেকে রাস্তা কেটে পানি ওঠানামার ব্যবস্থা করে নিয়েছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার ও যারা কেটে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ফরাজীসহ ভুক্তভোগীরা।
×