ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নদী ভাঙনরোধে হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৪ মে ২০১৭

নদী ভাঙনরোধে হাজার কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বর্ষা মৌসুমের আগেই জেলার বিভিন্নস্থানে এবারও নদীভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, বসতভিটাসহ বহু স্থাপনা। হুমকির মধ্যে রয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু, বিমানবন্দর এলাকা, নগরীর বেলতলা সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, চরবাড়িয়া, চরমোনাই, হিজলার চরআবুপুর এলাকার বহু রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ নানা স্থাপনা। সূত্রমতে, প্রতিবছর বর্ষায় নদী তীরের মানুষ ভিটেবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর তাদের কপালে জোটে কেবল সাহায্যের আশ্বাস। বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্তরা কিছুই পায় না। নদীতীরে বাঁধ নির্মাণ না করা, সময়মতো বাঁধ সংস্কার না করা ও অপরিকল্পিতভাবে নদী ড্রেজিং করাসহ বিভিন্ন কারণে ভাঙ্গন দিনে দিনে প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভাঙ্গন ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের সঙ্গে আলাপ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারা বছরই দক্ষিণাঞ্চলের নদীশাসন ও ভাঙ্গনরোধে কাজ চলমান থাকে। নতুন আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রকৌশলী জানান, নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই কমবেশি নদীভাঙ্গন অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও অতিরিক্ত ভাঙ্গনকবলিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে কাজ করা হয়। সূত্রমতে, ২০১৫ সালে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রবল ভাঙ্গনকবলিত ২৬ পয়েন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রাক্কলিত ব্যয় উল্লেখ করে ১১টি প্রকল্পের প্রস্তাব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবের (ডিপিপি) আওতাধীন। পাশাপাশি কিছু রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (সিসিটিএফ)’র আওতাধীন। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে হাজার কোটি টাকার ওপরে। এ ব্যাপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে নির্ধারণ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটিরই অগ্রগতি রয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা হবে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (সিসিটিএফ)’র অর্থায়নে জেলার বিভিন্নস্থানে ছয়টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। যার বেশ কয়েকটি শেষের পথে। তিনি আরও বলেন, বর্ষাকাল আসন্ন হওয়ায় তারা আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
×