ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ শিকার ও পাচার রোধে উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ২৩ মে ২০১৭

অবৈধ শিকার ও পাচার রোধে উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল

অনলাইন ডেস্ক ॥ অবৈধ শিকার এবং পাচার অনুৎসাহিত করতে নেপালের সরকার চার হাজারের বেশি বন্যপ্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুড়িয়ে দিয়েছে। চিতওয়ান জাতীয় পার্কে পোড়ানো এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে গন্ডারের শিং, বাঘ ও চিতাবাঘের চামড়া ছিল। এসব প্রাণী এখন নেপালে বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রাণিবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ শরণ মাহাত। তিনি বলেন এধরণের কর্মসূচির ফলে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার নিরুৎসাহিত হবে। অবশ্য ১১০০ কেজি হাতির দাঁত পোড়ানো হয়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, এর উপযুক্ত চুল্লি তাদের নেই। হাতির দাঁত পোড়ানোর জন্য এমন চুল্লি দরকার যাতে তাপমাত্রা ৯০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডেরও বেশি ওঠে। নেপালে বন্যপ্রাণীর চামড়া-শিং ইত্যাদি পোড়ানোর এরকম কর্মসূচি নেয়া হলো ২০ বছর পরে। বন্যজন্তু সংরক্ষণে নেপাল সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। গত দু'দশকে সেখানে বাঘ ও গণ্ডারের সংখ্যা বেড়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী নেপালে এখন ১৯৮টি বাঘ এবং ৬৪৫টি গন্ডার রয়েছে। অথচ ২০ বছর আগে নেপালে বাঘের সংখ্যা নেমে এসেছিল মাত্র ৯১টিতে আর গন্ডার ছিল ৩৭২টি। কর্মকর্তারা মনে করেন, চোরাই শিকার দমনে তাদের কড়া পদক্ষেপ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। সুত্র:বিবিসি।
×