ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চিতলমারীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৩ মে ২০১৭

চিতলমারীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারীতে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে অসহ্য দাবদাহে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কটে হাসফাঁস করছে। পানি পিপাসা মেঠাতে তারা পুকুর, নালা, খাল ও আর্সেনিকযুক্ত অগভীর নলকূপের পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, আমাশয়সহ নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী পানির সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের আশু হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪টি কলেজ, ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩০টি মাদ্রাসা, ১০৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা নেই। বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউবয়েল ও ফিল্টার অকেজো হয়ে আছে দীর্ঘদিন। ফলে বাধ্য হয়ে শিার্থীরা যত্রতত্র পানি পান করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী সূত্র জানায়, চিতলমারীতে ১৭৭টি গভীর ও ১ হাজার ৮৮২টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ নলকূপের পানিতে রয়েছে অতিমাত্রায় আর্সেনিক। যার ফলে এসব পানি পান করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ১১০টি রেইন ওয়াটার প্লান্ট এবং ৬ শতাধিক পুকুর ও টিউবয়েলসহ অন্যান্য ফিল্টার স্থাপন করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। এলাকাবাসী জানান, বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের একাধিকবার আবেদন করেও এখনও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। সুপেয় পানির জন্য কার্যকরী কোন স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। ফলে এলাকাবাসীর জন্য প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পানির সমস্যা। এ সঙ্কটের সমাধান না হলে এলাকায় ভয়াবহ আকারে পানিবাহী রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। চিতলমারী এসএম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্র নাথ মল্লিক জানান, তার বিদ্যালয়ে প্রায় ৮৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের জন্য সুপেয় কোন পানির ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা অস্বাস্থ্যকর পানি পান করছে। বিষয়টি নিয়ে খুবই সমস্যায় আছেন শিক্ষক-শিার্থীরা। চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্র নাথ বাড়ৈ জানান, দুপুরের টিফিন খাওয়ার পানি পর্যন্ত মিলছে না স্কুলে। এ অবস্থায় দরিদ্র পরিবারের ছাত্রী যাদের বাজারের মিনারেল ওয়াটার কেনার সামর্থ নেই তাদের খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
×