ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

তিন নারী শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘জলকন্যা’

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৩ মে ২০১৭

তিন নারী শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘জলকন্যা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিবিড় মমতায় আঁকা হয়েছে ক্যানভাসগুলো। বর্ণের সঙ্গে বিষয়ের বৈচিত্র্যময়তা সহজেই নজর কেড়ে নেয় চিত্রপটগুলোর দিকে। নয়নজুড়ানো ছবিগুলো ঝুলে ছিল রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায়। তিন নারী শিল্পীর চিত্রকর্ম দিয়ে সাজানো যৌথ প্রদর্শনীটির শিরোনাম ‘জলকন্যা’। প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া শিল্পীরা হলেনÑ সুপর্ণা এলিস গোমেজ, কানন জেনেট গোমেজ ও গ্রেসি দীপা ডিরোজারিও। সুপর্ণা এলিস গোমেজ বলেন, আমরা তিন নারী শিল্পী মূলত জলরংয়ের আশ্রয়ে বেশির ভাগ চিত্রকর্ম এঁকেছি। এই মাধ্যমে এ যাপিত জীবনচিত্রসহ মেলে ধরেছি নিসর্গের নান্দনিকতা। এ কারণেই প্রদর্শনীর শিরোনাম দিয়েছি জলকন্যা। আশ্রয় নামের নামের ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা। এক জোড়া পাখির গালগল্প করা ছবির শিরোনাম দেয়া হয়েছে বন্ধুত্ব। এছাড়াও প্রার্থনা, দুই বোন, একাকী কিংবা ভারসাম্যহীনতা ব্যথা শীর্ষত চিত্রকর্মগুলোয় দেখা মিলেছে নবীন শিল্পীদের দক্ষতা। জলরংয়ের সঙ্গে কিছু অ্যাক্রেলিক মাধ্যকে আঁকা ৪০টি চিত্রকর্ম ঠাঁই পেয়েছে প্রদর্শনী। ১৯ মে থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী প্রদর্শনীর শেষদিন ছিল সোমবার। ‘প্রতিবাদী চেতনার অন্যতম লেখক শওকত ওসমান’ ॥ আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। সোমবার ছিল এ আয়োজনের পঞ্চম দিন। এদিন বিকেলে আয়োজন করা হয় শওকত ওসমান : জীবন ও দর্শন শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শওকত ওসমানের ছেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বক্তব্য উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল আজাদ। আলোচনায় অংশ নেন শওকত ওসমানের আরেক ছেলে অধ্যাপক ড. বুলবন ওসমান ও অধ্যাপক ড. আফসার উদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক সভাপতি এম আজিজুর রহমান। সেমিনারে বক্তারা বলেন, শওকত ওসমান প্রতিবাদী চেতনার অন্যতম প্রধান লেখক। নজরুল পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক কাব্যধারার একমাত্র উত্তরাধিকার তিনি। শুধু কাগজ-কলমে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কখনও পিছপা হননি তিনি। নিরন্নের পাশে থেকে ছিলেন তিনি। তাই বলব, সমকালের অসম সমাজ ব্যবস্থায় তিনি এখনও প্রাসঙ্গিক। আদ্যোপান্ত বিদ্রোহী চেতনার বিরলপ্রজ মানুষ ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত ‘শওকত ওসমান : জীবন ও দর্শন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শওকত ওসমানের ছেলে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক সভাপতি এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল আজাদ। আরও বক্তব্য রাখেন শওকত ওসমানের বড় ছেলে বুলবুল ওসমান ও অধ্যাপক ড. আফসার উদ্দিন আহমেদ। ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাবা বেঁচে থাকতে আমি কখনও ছড়া কবিতা লিখতে সাহস করতাম না। বাবার মৃত্যুর পরে আমি বাবার স্যাটায়ার আঙ্গিক অনুসরণ করছি। বুলবুল ওসমান বলেন, বাবার মধ্যে রাজা রামমোহন রায়ের সমাজচেতনার প্রভাব পড়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে কাটানো বাল্যকালে তার মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ রোপিত হয়েছিল। অধ্যাপক আফসার উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পাঠ্যসূচীতে শওকত ওসমানকে সেভাবে পড়ানো হয় না। অথচ শওকত ওসমানের লেখায় প্রতীক, রূপকে কখনও অস্পষ্টতায় ঘেরাটোপ ছিল না। তিনি জীবনকে সরলভাবে দেখার গভীর প্রত্যয় ব্যক্ত করে গেছেন। এর আগে সকালে ‘বাংলা টাইপ ফন্ট এবং কম্পিউটারে বাংলা হরফের উদ্ভাবন ও বিবর্তন’ শীর্ষক আরেকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বিজয় বাংলায় উদ্ভাবক জনাব মোস্তফা জব্বার। আলোচনা করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, হামিদুল ইসলাম ও মেহেদী রাসেল। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। পাইচো চোরের কিচ্ছা নাটকের মঞ্চায়ন নাট্যদল ঢাকা পদাতিকের আলোচিত প্রযোজনা ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’। সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হলো নাটকটির ৫২তম মঞ্চায়ন। হাস্যরসাত্মক লোকনাটকটি খুলনা অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী চপল। প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দিয়েছেন কাজী শিলা, শ্যামল হাসান, সালাউদ্দিন রাহাত, রিয়াজ আহমেদ, মাসুদ আহমেদ, জাকারিয়া কিরণ, শ্যামল হাসান, মৌসুমী ইসলাম, মুমু, তন্দ্রা, তন্নি, কাজী সম্রাট, সুমন ঘোষ, নিপা, কবির, দেবাশীষ বড়ুয়া, সজল, আল আমিন, সামিউল, ইকরা, সেতু ও শাহনাজ।
×