ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘উন্নয়ন কাজে ইন্টারনেট’

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৩ মে ২০১৭

‘উন্নয়ন কাজে ইন্টারনেট’

দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। ইন্টারনেটের ব্যবহার ২০১৮ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে। পরিমাণের দিক থেকে হবে এক টেরাবাইট, ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের আড়াইগুণ সক্ষমতা বাড়বে এসব চিন্তা মাথায় রেখেই দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কুয়াকাটা শক্তি স্টেশন। লক্ষ্য সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে সব ধরনের কাজে যে গতি আসবে তা বলাইবাহুল্য। পাশাপাশি প্রত্যাশা করা হচ্ছে এর ফলে দেশী-বিদেশী সব ধরনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টিও। সবচেয়ে বড় কথা দ্বিতীয় সাবমেরিনে যুক্ত হওয়ার ফলে একটা ব্যাকআপ তৈরি হবে। কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ঢাকার মগবাজার টেলিফোন ভবন পর্যন্ত কেবল স্থাপনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে অর্থাৎ সব ধরনের অবকাঠামো তৈরির কাজ নিশ্চিত হতে চলেছে, যাতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহণকারীদের মধ্যে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় সাধন হয়। এখন এ কথা সর্বজনবিদিত যে, ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধিই আমাদের উন্নয়ন সমৃদ্ধির ভবিষ্যত গতিপথ নির্ধারণ করে। তাই আমাদের সর্বাগ্রে এখন বিবেচনার দাবি রাখে কিভাবে কত দ্রুত তথ্যপ্রযুক্তি অঞ্চল বা নগরী গড়ে তোলা যায়। বড় বড় অত্যাধুনিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং এর সুফল ভোগ করতে হলে ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির সহজ ও সাবলীল ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারীদের উৎসাহও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। একটি বিষয় মাথায় রেখে আগাতে হবে আর তা হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সুযোগ বৃদ্ধির সুবিধা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য মেধা সম্পদের ব্যবহার এবং মেধার বিকাশে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ আবশ্যক। অর্থাৎ মেধা সম্পদের যথাযথ কাজে লাগাতে পারার মধ্যেই আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতির সাফল্য ও কৃতিত্ব দৃশ্যমান হতে পারে। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। সে জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার সুনিশ্চিয়তা করতে হবে।
×