ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রুচিশীল পোশাকেই সৌন্দর্য

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২২ মে ২০১৭

রুচিশীল পোশাকেই সৌন্দর্য

বর্তমান যুগ, ফ্যাশনের যুগ। সৌন্দর্য সচেতনতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি। কিন্তু এই আধুনিক যুগে ছেলেরাও কম যায় না। নগরায়ণ, কর্পোরেট পেশা, ডেস্ক জব, নানাবিধ কারণে আমরা আমাদের ফিগারটাকে ঠিক রাখতে পারি না। ফিগারের সঙ্গে কিন্তু শরীর, স্বাস্থ্য ও মন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সুন্দরের জয় সর্বত্র। তাই আপনাকেও অবশ্যই রুচিশীল হতে হবে। আপনি কালো বা শ্যামলা সেটা কিন্তু কোন সমস্যা না। আপনি পোশাক আর পোশাকের রং নির্বাচনে রুচিশীল হয়ে থাকলে আপনাকে মোটেও দৃষ্টিকটু দেখাবে না। যে কোন রং নির্বাচন করার আগে আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিতে পারেন আপনাকে মানাচ্ছে কিনা। এমন রং নির্বাচন করা উচিত যাতে আপনাকে উজ্জ্বল দেখাবে। শ্যামলা রঙের মেয়েদের জন্য বাসন্তী, হলুদ, ডিমের কুসুম হলুদ, হাল্কা কমলা, মেরুন, সাদার সঙ্গে লালের কম্বিনেশন, হাল্কা সবুজ এই রংগুলো সহজেই মানিয়ে যায় আর উজ্জ্বল লাগে। কালচে বেগুনী অর্থাৎ ঘন গাঢ় বেগুনী, নীল, গাঢ় ঘন কালচে সবুজ ইত্যাদি রং পরলে গায়ের রং আরও ডার্ক মনে হতে পারে। অনেকেরই ধারণা, গায়ের রং ফর্সা হলে বুঝি সবরকম রঙের পোশাকই পরা যায়। তবে বাস্তবে ব্যাপারটি কিছুটা ভিন্ন। ব্যক্তিভেদে পোশাকের রং নির্বাচন করা উচিত। ফর্সা রঙের মেয়েদের গাঢ় রঙের চেয়ে হাল্কা রঙে বেশি মার্জিত লাগে। ফর্সারও ধরন আছে। সাদা ফর্সা, গোলাপি ফর্সা, হলদে ফর্সা। সাদা ফর্সাদের হাল্কা রঙের পোশাকে বেশি ভাল লাগে। গাঢ় হাল্কার মিশ্রণেও ভাল মানায়। গোলাপি বা লালচে ফর্সাদের মাঝামাঝি গাঢ় রং কিংবা হাল্কা দুটোই মানায়। হলদে ফর্সাদের মোটামুটি সব রংই মানিয়ে যায়। গায়ের রং একটু কালোর দিকে হলে অনেকেই পোশাকের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়েন। হয়তো ভাবেন কোন রংই মানাচ্ছে না। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। যে কোন রং-ই আপনি পরতে পারেন, তবে পরার আগে আয়নায় পোশাকটি গায়ের ওপর ধরে একটু দেখে নিন, আপনাকে কেমন মানাচ্ছে। গায়ের রং কালো হলেও চেহারা আকর্ষণীয় আর একটু চিকন ধাঁচের হলে যে কোন পোশাকেই আকর্ষণীয় লাগে। যদি ডার্ক রঙের পোশাক পরতে চান তবে সাজ-সজ্জাটা একটু হাল্কা করতে হবে, কম গহনা পরতে হবে। ওড়না যদি রংচঙে হয়, জামাটা হাল্কা রঙের হতে পারে। এভাবে নিজের মতো করে মিলিয়ে নিতে হবে। যে কোন রংই বুঝে পরা যেতে পারে। তবে খুব চোখে লাগে এমন কোন রং ব্যবহার না করাই ভাল। কটকটা লাল রংটা সাধারণত দৃষ্টিকটু লাগে। যারা একটু স্বাস্থ্য সচেতন ও ফিট থাকতে চান তাদের কাছে মেদ ভুঁড়ি এক মারাত্মক সমস্যা। শুধু তাই নয়থ ফ্যাশন সচেতনদের কাছেও ভুঁড়ি এক বিড়ম্বনা। আপনি যে পথ, যে মতের অনুসারী হন না কেন, হাল ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে জনগণ কিন্তু আপনাকে পাত্তা দিতে চাইবে না। নেলপলিশের রং নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা থাকে। গায়ের রং চাপা হলে অনেকেই মনে করেন গাঢ় বা বেশি ডিপ রং এড়িয়ে চলাই ভাল। তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং নেলপলিশের রিচ এ্যান্ড ডিপ শেড দারুণ মানায় গায়ের রং চাপা হলেও। গাঢ় সবুজ, বার্গেন্ডি বা গাঢ় লাল রঙে নখ রাঙিয়ে ফেলতে পারেন। গায়ের রং সাদা গায়ের রং একেবারে ধবধবে সাদা হলে নেলপলিশের প্রায় রং নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন। সব রংই ভাল মানায়। সুন্দর হাতের সৌন্দর্য আরও বাড়াতে বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল গোলাপী, হলুদ, কমলা বা নীল রং। দারুণ মানাবে। ফরসা ত্বক গায়ের রং ফরসা হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। পোশাক আশাকের সব রং ভাল তো মানায়ই। সেই সঙ্গে নেলপলিশের যে কোনও শেড দারুণ দেখায় আঙুলে। ফরসা ত্বক হলে সবচেয়ে ভাল মানায় উজ্জ্বল গোলাপী, পার্পল, লাল বা নীল রঙের নেলপলিশ। গায়ের রং ফ্যাকাশে গায়ের রং খুব ফরসা হলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়। এমন গায়ের রং হলে বেছে নিন হাল্কা শেডের নেলপলিশ। সবচেয়ে ভাল মানাবে প্যাস্টেল কালার। তেমনি গায়ের রং ভেদে লিপস্টিক বাছাইয়ে রূপ বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো- উজ্জ্বল গোলাপী, লাল, কমলা, পিচ, কোরাল, বাদামি, ন্যুড- যে কোন রং থেকে নিজের পছন্দ মতো বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে রং বেছে নেওয়ার আগে চোখের মেইকআপের সঙ্গে যেন সামঞ্জস্য থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পোশাক এবং মেকআপের ধরন বুঝে রং বেছে নিলে দেখতে আকর্ষণীয় দেখাবে। শ্যামলা ত্বকের জন্য গ্লসি লিপস্টিক বাদ দিয়ে গাঢ় ও উজ্জ্বল রঙের ম্যাট লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন। বাদামি, চকলেট, বারগান্ডি, মেরুন বা কালচে লাল রংগুলো শ্যামলা ত্বকের জন্য উপযোগী। উজ্জ্বল শ্যামলা ত্বকের ক্ষেত্রে চোখের সাজ হাল্কা হলে উজ্জ্বল গোলাপী বা কমলার শেইডগুলো বেছে নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন শেইডের লাল লিপস্টিক ব্যবহারের স্বাধীনতাও রয়েছে। হাল্কা বাদামি ত্বকেও অনেক ধরনের রং মানিয়ে যায়। উজ্জ্বল গোলাপী, কমলা বা লালের শেইড বেছে নেওয়া যেতে পারে। হাল্কা লিপস্টিক বেছে নিতে চাইলে কোরাল এবং হাল্কা গোলাপী বেছে নেয়া যেতে পারে। ছবি : নাঈম ইসলাম
×