ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুর্গন্ধে বগুড়া নগরীতে পথচলা দায় ॥ ময়লার ভাগাড়

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২০ মে ২০১৭

দুর্গন্ধে বগুড়া নগরীতে পথচলা দায় ॥ ময়লার ভাগাড়

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ দুর্গন্ধে বগুড়া নগরীতে পথচলা দায়। মনে হবে পুরো নগরী আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আরেকদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় পুরো বছর ড্রেনের ময়লা উপচে উঠে প্রধান সড়কগুলোর অনেকটা অংশ দূষিত হয়ে থাকে। দুর্গন্ধে পথচলতে হয় নাক চেপে। প্রথম শ্রেণীর বগুড়া পৌরসভার এ অচলায়তন কাটছেই না। দিন দিন পরিবেশদূষণ বাড়ছে। পৌরবাসী দুর্ভোগে পড়ে নিত্যদিন পৌর পিতার কাছে যাচ্ছে। ধরনা দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। ‘বরাদ্দ নেই ফান্ড নেই অর্থ নেই’ বলে পৌর পিতা সেই যে ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছেন তার থ্রেড থেকে বের হতে পারছেন না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বগুড়া পৌরসভার জন্য বরাদ্দ দিচ্ছে না। কেন দিচ্ছে না, কোথায় যে জট পেকেছে কেউ বুঝতেও পারছে না। জানতেও পারছে না। পৌরবাসী নামের ‘আম পাবলিকের’ ত্রাহী মধুসূদন অবস্থা। বগুড়া পৌর এলাকার আয়তন এখন অনেক বেশি। ১৪ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভা ২০০৪ সালে ‘এক ব্যক্তির’ নির্দেশে রাতারাতি প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটার হয়ে যায়। উভয় দিকের দুটি ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে পৌর এলাকার সঙ্গে একীভূত হয়। সংযোজিত এলাকার মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত। ওই এলাকাগুলোতে গেলে মনে হবে গ্রাম। এরই মধ্যে নগরী ও নগরীর কাছাকাছি এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলায় ভাগাড়ের মতো হয়েছে। ডাস্টবিন প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায়, পৌরবাসী যেখানে সেখানে গৃহস্থালি বর্জ্য ফেলায় এবং নিয়মিত গার্বেজ ট্রাক আবর্জনা তুলে নিয়ে ডাম্পিং না করায় এ অচলায়তনের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর আরেক বড় সমস্যা হলো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া। কখন যে কোন সড়কে ড্রেনেজের ময়লা উপচে উঠে চলাচল অসহনীয় করে তুলবে তা কেউ বলতে পারে না। নগরীর কেন্দ্রস্থল সাতমাথার নিকটেই কবি নজরুল ইসলাম সড়কের ধারে ময়লা উপচে উঠে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, দোকানিদের অনেকে ফুটপাথ থেকে ময়লার ওপর দিয়ে ছোট সাঁকো বানিয়ে দেয়। শুকনার দিনেই এ অবস্থা। বৃষ্টিপাত হলে দুর্ভোগের মাত্রা কতটা বাড়ে তা বুঝে নিন। জলাবদ্ধতায় কোনটি ড্রেনের বর্জ্য আর কোনটি বৃষ্টির পানি তা বুঝে ওঠাই কঠিন। দুর্গন্ধের মধ্যেই সাধারণের পথচলতে হয়। কোন কারণে রিক্সা উল্টে গেলে যাত্রীরা ওই ময়লার মধ্যেই চিৎপটাং খায়। পৌরবাসীর কথাÑ কবে দূর হবে এ অচলায়তন! এমন প্রশ্নের কোন উত্তর মেলে না।
×