স্টাফ রিপোর্টার॥ আবারও মিটারের তোয়াক্কা করছেন না সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা। সরকারের তোড়জাড়ে কিছুদিন নিয়ম মানলেও ফের ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকছেন তারা। ফলে যথারীতি পকেট কাটা যাচ্ছে যাত্রীদের। তাদের অভিযোগ- ঠিকমতো মনিটরিং না থাকায় এই নৈরাজ্য। অন্যদিকে চালক ও মালিকরা বলছেন, বার-বার একই পরিস্থিতি তৈরির মূলে রয়েছে, সিএনজি অটোরিক্সার অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও লাইসেন্স নিয়ে দুর্নীতি।
সিএনজি চালকের সাথে দরদাম, এমন ঘটনা নিত্যদিনের। ২০০২ সালে যাত্রার দিন থেকে এ পর্যন্ত ৫ দফা ভাড়া বেড়েছে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার। তবুও মুক্তি মিলছেনা এই বিড়ম্বনা থেকে। সর্বশেষ ভাড়া বেড়েছে ৬০ শতাংশ। তারপরও দুই কিংবা তিনগুন ভাড়া দিয়েও নগরবাসীর ভাগ্যে জুটেনা তিনচাকার এই বাহন। গলদটা শুরুতেই। লাইসেন্সে রাষ্ট্রীয় অনিয়ম ও চাহিদার তুলনায় কম গাড়ির অনুমোদন দেয়ায় সাধারনের এই পরিবহন হাতবদল হয় উচ্চ মূল্যে। ফলে সরকারের বেধে দেয়া ভাড়ায় কখনই চলেনি এই ফোর স্ট্রাক থ্রি হুইলার। ২০০৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে রুট পারমিট। আর তাই যুগ পেরিয়ে বর্তমানে পুরনো গাড়ি বাজারে বিকাচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ, এমনকি ১৫ লাখ টাকায়। বৈধ প্রায় ১৪ হাজারের পাশাপাশি আরো প্রায় ১৫ হাজার মিটারবিহীন অটোরিক্সা রাজধানীতে চলাচল করছে বিভিন্ন পক্ষকে ম্যানেজ করে। আইনে দৈনিক জমা ৯০০ টাকার কথা বলা হলেও, বহু মালিক দিনে একাধিক সিফটে গাড়ি ভাড়া দিয়ে আদায় করছেন অতিরিক্ত অর্থ। বিআরটিএর এ মুহূর্তে রাজধানীতে নতুন করে সিএনটি অটোরিক্সা রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার যেমন কোন পরিকল্পনা নেই, তেমনি মাথাব্যাথা নেই সমস্যা সমাধানের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাড়াসহ পরিবহনের নানা সমস্যার সমাধান দিতে পারে প্রযুক্তির ব্যবহার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: