ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হিমসাগর এখন ইউরোপে

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২০ মে ২০১৭

হিমসাগর এখন ইউরোপে

দেশের সীমানা পেরিয়ে সাতক্ষীরার হিমসাগর আম এখন ইউরোপের বাজারে। গত তিন বছর ধরে সাতক্ষীরা থেকে আম রফতানি হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে ইতালিতে হিমসাগর আমের কদর অনেক বেশি। আর এ কারণে মধুমাসের প্রথম দিনেই সাতক্ষীরার হিমসাগর গেল ইউরোপে। আর এর মধ্য দিয়ে আম রফতানিতে তৃতীয়বারের মতো সাফল্যের মুখ দেখল ‘সাতক্ষীরা ব্র্যান্ড।’ রফতানির প্রথম চালানেই দেবহাটা উপজেলার ছয় চাষী ও সদর উপজেলার তিন চাষীর বাগানের হিমসাগর পাঠানো হলো ইউরোপের ফ্রান্স ও ইতালিতে। আম পেড়ে বাগানেই প্যাকেটজাতকরণের পর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তা নিয়ে রওনা হয় বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। এর আগে গুণগত মানসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া তদারকি করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ সজল, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনসহ মাননিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। রফতানির প্রথম চালানে দেবহাটা উপজেলা থেকে ৩৫৯৪ কেজি ও সদর উপজেলা থেকে ৩৬৮৯.৬ কেজি আম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তাসিন এন্টারপ্রাইজ ও হক এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ইতালি ও ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও সবার আগে বাজারে উঠেছে সাতক্ষীরার আম। আর এ কারণে আমের এলাকার মানুষ এসেছে সাতক্ষীরায় ব্যবসা করতে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীরা এখন সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। সাতক্ষীরায় শেষ হলে রাজশাহীতে আম ভাঙ্গার সময় হয়। বিদেশে রফতানির পাশাপাশি সাতক্ষীরার আম মিলবে বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুরসহ অন্যান্য জেলার বিভিন্ন আড়তে। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত আমের মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, আম্রপালি, মল্লিকা, সিঁদুররাঙা, ফজলি, কাঁচামিঠা, বোম্বাই উল্লেখযোগ্য। রফতানির লক্ষ্যে কলারোয়া উপজেলার ১০০টি, দেবহাটা উপজেলার ৪০টি, তালা উপজেলার ৮৭টি ও সদর উপজেলার ১৫০টিসহ সর্বমোট ৩৭৭টি বাগান নির্বাচন করে বিশেষ পরিচর্যা করা হয়েছে। এসব বাগানে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলে বিষমুক্ত আম উৎপাদনের কার্যক্রম। এ বছর আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা দেড়শ’ মেট্রিক টন। Ñমিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা থেকে
×