ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পরাজয় অবধারিত: মওদুদ

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১৯ মে ২০১৭

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পরাজয় অবধারিত: মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় অবধারিত। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত ‘খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩‘- আগামী দিনে রাজনীতি ও আমাদের করণীয়’ শীর্র্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মওদুদ বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনকালীন এমন সহায়ক সরকার থাকতে হবে যাদের কোন রাজনৈতিক স্বার্থ থাকবে না। তবে পরাজয়ের আশঙ্কায় সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আইনের শাসন এখন দলীয় শাসনে পরিনত হয়েছে। বিচার বিভাগ কি স্বাধীন এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। সরকার বলছে বিচার বিভাগ স্বাধীন। কতটুকু স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন বিচারকরা? তবে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিচার বিভাগকে পুরোপুরি স্বাধীন করা হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, দেশে সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রতিদিনই মানুষ খুন হচ্ছে। বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, ওই হোটেলের মালিক কে সেটা সবাই জানে। প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে তারাই জড়িত যারা বার বার অপরাধ করে। প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে সরকারের কোনো না কোনো প্রভাবশালী লোকের সমর্থন ও মদদ আছে। মওদুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা হীনমন্যতা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করব না। মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে আমরা প্রশাসন সাজাব। দলীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রশাসনের কোনো পদে কাউকে অধিষ্ঠিত করা হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রশাসনকে মেধাহীন করে দিয়েছে। অর্থাৎ তাদের কাছে মেধার কোনো মূল্যায়ন নেই। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে, কেন বেড়েছে? প্রতিকারের বাস্তবসম্মত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। অথচ পুলিশকে বলা হয়েছে বিরোধী দলকে পেটাও, তাদের কোনো জনসভা করতে দেবে না। এ কারণে আমরা আজ কোনো জনসভা করতে পারি না। পুলিশকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক উদ্দেশে এবং নিজেদের রক্ষার জন্য ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগ বলে দেশে নাকি বিএনপি নেই। আমি সরকারকে বলতে চাই, দেশের যেকোনো জায়গায় এবং যেকোনো উপজেলায় বিএনপিকে জনসভা করতে দেন, আর আপনারও করেন। দেখেন, কাদের জনসভায় বেশি মানুষ হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সুকোমল বড়ূয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমত উল্লাহ, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
×