ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুমন্ত গুপ্ত

বাংলাদেশ মাতালেন রিচার্ড মার্কস

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৮ মে ২০১৭

বাংলাদেশ মাতালেন রিচার্ড মার্কস

সঙ্গীতের রয়েছে নানা ধরন, নানা স্বাদ। মানুষের ভিন্ন ভিন্ন পছন্দের কারণে গানের ধরনও বৈচিত্র্যময় হয়। আবার মনের অবস্থার ওপরও মানুষের গানের পছন্দ নির্ভর করে। তাই ফোক, রক, মেটাল, পপ, জ্যাজ ইত্যাদি ধরনের গানের জন্ম হয়েছে। ভিন্ন রকমের কথা, সুর, তাল, বাদ্যযন্ত্র দিয়ে এসব গানে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। ১৯৫০ এর দশকে আমেরিকার রক এ্যান্ড রোল মিউজিক থেকে নতুন এক ধরনের গানের উৎপত্তি হয়। রক মিউজিক নামের এ সঙ্গীত খুব দ্রুতই সবার মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ১৯৬০ সালের দিকে এবং এর পরে এই সঙ্গীতের আরও নতুন ধরন সৃষ্টি হয়। রক এ্যান্ড রোল থেকে উদ্ভব ঘটলেও রক গানের ওপর ব্লুজ, রিদম এ্যান্ড ব্লুজ এবং কান্ট্রি মিউজিকের প্রভাব বেশ ভালভাবেই দেখা যায়। এ ছাড়াও ফোক সঙ্গীত, ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত এবং জ্যাজ সঙ্গীতেরও প্রভাব রয়েছে এর ওপর। ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে রক সঙ্গীত বিবর্তিত হয়ে এবং অন্য বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতের সঙ্গে সংমিশ্রিত হয়ে অনেক উপধারার সৃষ্টি করেছে। যখন এটা ফোক সঙ্গীতের সঙ্গে মিশেছে তা হয়েছে ফোক রক, যখন তা মিশিয়ে ব্লুজের সঙ্গে তা পরিণত হয়েছে ব্লুজ রকে এবং জ্যাজের সঙ্গে জ্যাজ রক ফিউশন। ১৯৭০-এর দশকে রক সঙ্গীত অনুপ্রাণিত হয়েছে সোল, পাঙ্ক এবং ল্যাটিন সঙ্গীত থেকে। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী রিচার্ড মার্কস। যার গান শুনে অনেকেই রক গানের প্রতি আসক্ত হন। সেই তিন দশক ধরে জনপ্রিয়তার ধরে রেখেছেন রিচার্ড মার্কস। গান ও স্টেজ পারফর্মেন্স দিয়ে এখনও সমান জনপ্রিয় ৫৩ বছর বয়সী এই শিল্পী। বিল বোর্ডের টপ ফাইভে টানা সাতবার থেকে প্রথম একক শিল্পী হিসেবে রেকর্ড করেন মার্কস। সারা বিশ্বে তার এ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি। পেয়েছেন গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য স্বীকৃতি। রাইট হিয়ার ওয়েটিং ফর ইউ, এ্যান্ডলেস সামার নাইট, হ্যাজার্ড, হোল্ড অন টু দ্য নাইট, স্যাটিসফায়েড, নাউ এ্যান্ড ফরএভার, এ্যাট দ্য বিগিনিং, গানগুলো দাগ কেটে আছে কোটি হৃদয়ে। ’৮০-এর দশকের শেষ থেকে শুর করে নব্বই দশকজুড়ে এ শিল্পী মাতিয়েছেন তার সেরা গানগুলো দিয়ে। এখনও তিনি সারা বিশ্বে সমানভাবেই তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। অনেক জনপ্রিয় ইংরেজী রোমান্টিক গান করেছেন রিচার্ড মার্কস। এ তালিকায় আছে ‘রাইট হিয়ার ওয়েটিং’, ‘হোল্ড অন টু দ্য নাইট’, ‘এ্যান্ডলেস সামার নাইটস’, ‘স্যাটিসফায়েড’, ‘হ্যাজার্ড’, ‘নাউ এ্যান্ড ফরএভার’ গানগুলো। এই গুণী তরকা গত ১৬ মে বাংলদেশে এসে মাতিয়ে গেলেন। ঢাকার প্রতিষ্ঠান ক্রেইনসের আয়োজনে এসেছিলেন এই গুণী। হাজার হাজার দর্শকের সামনে গেয়ে শোনালেন তার সব জনপ্রিয় গানগুলো। আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম কেঁপে উঠল তার উন্মাদনায়।
×