ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইইউতে জিএসপির ‘এসিড টেস্ট’ ১৮ মে

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ১৫ মে ২০১৭

ইইউতে জিএসপির ‘এসিড টেস্ট’ ১৮ মে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ১৮ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বহাল থাকার বিষয়ে পর্যালোচনা হবে জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়ারে মায়াদু বলেছেন, এটি হবে বাংলাদেশের জন্য ‘এসিড টেস্ট’। জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশ স্পেশাল প্যারাগ্রাফের অধীনে রয়েছে, এটা খুব একটা ভালো খবর নয়। সোমবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যাহ্ন ভোজসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিনিয়োগের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানের না হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে না জানিয়ে পিয়ারে মায়াদু বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। কস্ট অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশকে আরও অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, ট্রেড ইউনিয়ন চালুসহ আইনি কাঠামোতে বেশ কিছু সংস্কার করা না হলে ইউরোপীয় দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে না। বিনা শুল্কে অস্ত্র ছাড়া সব ধরনের বৈধ পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানির সুযোগ পেয়ে আসছে উল্লেখ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে ৪৯টি দেশ এ সুবিধা পেয়ে আসলেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালোভাবে এটি কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে। তবে আগামীতে এ সুবিধা অব্যাহত রাখতে হলে জাতিসংঘ ঘোষিত ২৭টি কনভেনশন বাংলাদেশেকে কমপ্লাই করতে হবে। বৈশ্বিক সামাজিক নিরাপত্তা, সুশাসন ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এই তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গার্মেন্টেসের অগ্নিনির্বাপন ও ভবনের নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ট্রেড ইউনিয়ন চালুর ক্ষেত্রে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশকে এসব সমস্যা সমাধানে আরও উদ্যোগী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বাগত বক্তব্যে এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে ইইউ একক বৃহৎ অংশীদার। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট রফতানির ২৩ দশমিক ৯ শতাংশই হয়েছে ইইউভুক্ত দেশসমূহে। ২০১৬ সালে পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশই বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে ইইউ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ইইউ’র অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
×