ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় স্ত্রীকে হত্যা করে সিলেটে গিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৩:০২, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

ঢাকায় স্ত্রীকে হত্যা করে সিলেটে গিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর রমনার মধুবাগে তাসলিমা আক্তারকে (২৩) নামে গৃহবধূ গলাটিপে হত্যা করে তার স্বামী সুজন মিয়া সিলেটে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার মধ্যরাতে পুলিশ মধুবাগ ঝিলপাড় এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ করে। ওমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, গৃহবধূ তাসলিমার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি জানান, শনিবার যে কোন সময় তাসলিমাকে হত্যা করে তার স্বামী সুজন মিয়া সিলেটে দক্ষিন সুরমা এলাকা এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সেখানকার পুলিশ রাতে সুজনের লাশ গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে, স্ত্রী তাসলিমাকে গলাটিপে হত্যার পর সুজন সিলেটে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ তাসলিমার লাশ উদ্ধারের সময় সুজন মিয়াকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আত্মহত্যা করার আগে সুজন তার আত্মীয় স্বজনকে কাছে প্রতারনা করেছে। সে তাদের জানায়, তাসলিমা অন্য ছেলে সঙ্গে পালিয়ে গেছে। ওসি মশিউর রহমান জানান, দুটি ঘটনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, রবিবার দুপুরে ঢামেক মর্গে তাসলিমার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে শেখ সাদী মিয়া ঢামেক মর্গে এসে ভাতিজি তাসলিমার লাশ সনাক্ত করেন। পরে তিনি তাসলিমার লাশ নিয়ে যান গ্রামের বাড়ি রংপুর পীরগঞ্জে নিয়ে যান। মর্গে নিহতের চাচা শেখ সাদী মিয়া জানান, ১৩ বছর তাসলিমার সঙ্গে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরের সুজন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। সুজন রমনার মধুবাগ এলাকায় গামের্ন্টস চাকরী করতো। এরই সুবাদে সুজন তাসলিমাকে নিয়ে রমনার মধুবাগ ঝিলবস্তিতে থাকতো। তাসলিমা এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ২ ভাই ৫ বোনের তাসলিমা সবার বড় ছিল। তার সুজনই তাসলিমাকে হত্যা করে সিলেটে পালিয়ে গিয়ে তার এক আতœীয়ের বাড়িতে আতœহত্যা করেছে। তবে সুজন কেন তাসলিমা হত্যা করেছে। তা নিয়ে জানাতে পারেননি।
×