ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরাই চালান এই ক্যাফে

প্রকাশিত: ২৩:২২, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

ভারতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরাই চালান এই ক্যাফে

অনলাইন ডেস্ক ॥ সমাজের চোখে তাঁরা অপরাধী, আইনের চোখে সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামী। কিন্তু ফের স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলেন ওঁরা চার জন। জীবনে কঠিন চড়াই-উতরাই পেরতে হয়েছে একসময়। শিমলার চড়াই-উতরাইয়ের ঢালে এখন সেই স্বপ্নের পসরাই সাজিয়ে বসেছেন জয়, যোগ, রাম আর রাজ। অপরাধের শাস্তি হিসাবে শিমলার কাইথু জেলে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন ওঁরা। কিন্তু জীবনটা গরাদের আড়ালের অন্ধকারে শেষ করতে চাননি জয় চন্দ, যোগ রাজ, রাম লাল এবং রাজ কুমার। অনেক চেষ্টার পর জেলের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সাহায্যে এবং রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে তাঁরা হাতে পেয়েছিলেন ২০ লক্ষ টাকা। সেই টাকাতেই শুরু হয় ‘বুক ক্যাফে’। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ উদ্বোধন করেছিলেন ক্যাফেটি। শিমলায় পাহাড়ের খাঁজে, ঘন সবুজের ফাঁকে বাঁধানো এক চিলতে ‘উঠোন’। লাল ছাদ আর কাঠের দেওয়াল নিয়ে সেখানেই রয়েছে ‘বুক ক্যাফে’। ৪০ জন অতিথি বসতে পারেন এই ক্যাফেতে। সুস্বাদু কুকিজ, পিৎজা এবং নানা রকম স্ন্যাক্সের জন্য বিখ্যাত ‘বুক ক্যাফে’। শুধু স্থানীয়রাই নন, পর্যটকদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণ এই ক্যাফে। সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে এই ক্যাফেতে মিলবে বিভিন্ন স্বাদের বইও। এই কারণেই ক্যাফের নামও ‘বুক ক্যাফে’। অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবাও দেয় এই ক্যাফে। কেন হঠাৎ এই ক্যাফের চিন্তা মাথায় এল? জয়ের কথায়: ‘‘বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের প্রথম মাধ্যম ‘বুক ক্যাফে’। আমাদের সঙ্গে সকলেই খুব স্বভাবিক ব্যবহার করেন। অনেকে আমাদের নতুন জীবন নিয়ে উৎসাহিতও হন।’’ সম্প্রতি ক্যাফেটির উদ্বোধন করেছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ। প্রতিদিন ঠিক সকাল ১০টায় খোলে ‘বুক ক্যাফে’। বন্ধ হয় রাত ৯টায়। রাতে ক্যাফে বন্ধ করে কাইথু জেলে নিজের কুঠুরিতে ফিরে যান জয়, যোগ, রাম আর রাজ। চাইলে শিমলা বেড়াতে গিয়ে আপনিও ঢুঁ মারতে পারেন ‘বুক ক্যাফে’তে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×