ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গীবাদে দেশি ও প্রবাসী অর্থ দিতে পারে ॥ মনিরুল

প্রকাশিত: ২১:৪১, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

জঙ্গীবাদে দেশি ও প্রবাসী অর্থ দিতে পারে  ॥ মনিরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের জঙ্গীবাদে বিদেশি কোনো সংস্থার অর্থায়ন থাকতে পারে বলেছেন ডিএমপি পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সম্প্রতি পরিচালিত জঙ্গীবিরোধী দুটি অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়। এ সময় ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ ও ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গীবিরোধী অভিযানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। জঙ্গীবাদের অর্থায়নের উৎসগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, অর্থায়নের উৎস সব কটি এখনো পুরোপুরি চিহ্নিত করা যায়নি। যতটুকু চিহ্নিত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, জঙ্গীদের সমমনা কিছু দেশি ও প্রবাসী লোক এই অর্থের জোগান দিচ্ছেন। আর যেসব জঙ্গি জঙ্গীবাদে যুক্ত হতে ঘর ছেড়েছেন (হিজরত), তাঁরা সহায়-সম্পত্তি সংগঠনকে বিলিয়ে দিয়েছেন। প্রবাসী বাঙালি ছাড়া বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জঙ্গীবাদে অর্থ জোগাচ্ছে কি না, তা জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘এর আগে আমরা জেএমবি সদস্যদের জাল মুদ্রা কারবারে যুক্ত হতে দেখেছি। আমাদের পাশের একটি দেশের এ জাল মুদ্রাগুলো প্রতিবেশী আরেকটি দেশ থেকে তৈরি হয়ে আসত। জেএমবি সদস্যরা এই মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অতীতে দেখা গেছে। এসব মুদ্রা পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে সেই প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক প্রত্যাহারও হয়েছেন। সুতরাং, জঙ্গীবাদে বিদেশি অর্থায়নের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ এর আগে সরকারদলীয় নেতারা বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদে পৃষ্ঠপোষকতার যে অভিযোগ এনেছেন, তা কতটা যুক্তিযুক্ত বা বাস্তব—জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, এটা উদাহরণ দিয়ে বলতে হবে। জঙ্গীদের অনেককে পাওয়া গেছে, যাদের এ ধরনের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অতীত রয়েছে। যেমন সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত আবু। তিনি জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আবুর পুরো পরিবার ও তাঁর শ্বশুরের পরিবারও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বলা হয়, আবু বিয়ের পর জঙ্গীবাদে যুক্ত হন।
×