ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী;###;সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান

দোষারোপ নয় ॥ সংসদ, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে প্রয়োজন সমঝোতা

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

দোষারোপ নয় ॥ সংসদ, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে প্রয়োজন সমঝোতা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক দোষারোপের পথে না হেঁটে সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সমঝোতার মাধ্যমে আরও সচতেনতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার এই তিনটা স্তম্ভের মধ্যে একটা সমঝোতা নিয়েই চলতে হবে, কাজ করতে হবে। একটি আরেকটিকে দোষারোপ করে কোনদিন একটা রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না। এই বিষয়টায় সকলকে আমি একটু সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংসদ আইন প্রণয়ন করে, তা প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ। আর তা কার্যকর করার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের। ক্ষমতা কোন বিভাগেরই কম নয়। কিন্তু কেউ এককভাবে চলতে পারে না। সবাই মিলে সমঝোতা রেখেই চলতে হয়। কেউ যদি মনে করেন যে, না, ‘এখানে আমার ক্ষমতা, আমিই সবটুকু প্রয়োগ করে ফেলব’; কিন্তু সেই প্রয়োগটা করবে কে? তার জন্য তো কাউকে লাগবে। কাজেই এ কথাটা কেউ যেন ভুলে না যায়, আমি সেটুকুই বলব।’ বিচার প্রার্থীদের প্রতি আরও মানবিক হতে এবং সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসে তাদের ভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু আইন আর অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি করে বিচার প্রার্থী মানুষের ভোগান্তি কমানো সম্ভব নয়। আমাদের বিচারক ও আইনজীবীদের আরও মানবিক এবং জনগণের প্রতি সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আর দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনগত সহায়তা লাভের অধিকার রয়েছে এবং তার সরকার একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থের অভাবে কেউ আইনী সহায়তা পাবে না, বিচার পাবে না; এটা তো হতে পারে না। অনুষ্ঠানের শুরুতেই লিগ্যাল এইড সার্ভিস নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। পরে পারিবারিক সমস্যা ও তা সমাধানে লিগ্যাল এইড সার্ভিসের কার্যক্রম নিয়ে আইন সচিব রচিত এবং অভিনীত একটি ডকুড্রামা প্রদর্শন করা হয়। আইন বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক এবং জাতীয় আইনগণ সহায়তা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরপরই জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ফৌজদারি কার্যবিধির সংস্কার এবং বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরুর কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেন। বিচার বিভাগের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার বিকল্প নেই। বাংলাদেশে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই আন্তরিক। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যা যা করণীয়, আমরা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধনী-দরিদ্রের কোন বৈষম্য থাকবে না এবং জনগণ সংবিধানের মৌলিক অধিকারসমূহ ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটাতে পারবেন। শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে সরকারী আইনী সহায়তা কার্যক্রমের বিস্তার ঘটিয়ে এটিকে একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত বিচার প্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম করার লক্ষ্যে আমরা ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ পাস করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে সরকারী আইন সহায়তা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করে এই আইনকে গতিশীল করি। এ সংক্রান্ত আরও আইন ও বিধি প্রণয়ন করি। দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্র বিচার প্রার্থী জনগণ এর সুফল ভোগ করছেন। জনগণের অধিকার রক্ষায় আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সংবিধানে সুবিচার ও সাম্যের বাণীকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু নিজে ভুক্তভোগী ছিলেন বলেই সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানে মানবাধিকারের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা দোষে এবং বিনা বিচারে বঙ্গবন্ধুকে বছরের পর বছর জেলখানার নির্জন সেলে একাকী বন্দী করে রাখা হয়েছিল। বিচারের নামে প্রহসনও হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়লে আমরা জানতে পারি কী দুঃসহ দুঃখ-কষ্ট তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর বিচার কাজ চলত। ১৯৬৬ সালের ২৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘অত্যাচারেরও একটা সীমা থাকে। আটটা মামলা সমানে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করেছে। একজন লোকেরই এই বুদ্ধি। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের পেছন দরজার রাজনীতিতে যথেষ্ট’। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং পরবর্তীতে ইনডেমনিটি দিয়ে খুনীদের দায়মুক্তির ঘটনার কথা উল্লেখ করে আবেগজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণাটা যে কী; আমাদের থেকে ভাল কেউ জানে না।’ এ সময় শেখ হাসিনা সংবিধান থেকে উদ্বৃত্ত করে বলেন, আমাদের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী’। আবার ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে’। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের আইনগত সহায়তা লাভের অধিকার রয়েছে। আমরা একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারী আইন সহায়তা কার্যক্রম এ বৈষম্য দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ জনগণ সরকারী অর্থ ব্যয়ে আইনগত সহায়তা পাচ্ছেন। এছাড়া এসিড দগ্ধ নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা, প্রতিবন্ধী, পাচারকৃত নারী বা শিশু, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠীর জনগণও এই আইনগত সহায়তা পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত আদালতগুলোতে এবং শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম আদালতসমূহে আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ‘বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনগত সহায়তা কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে সুপ্রীমকোর্টেও সরকারী আইনী সেবা দেয়া হচ্ছে। সরকারপ্রধান আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৮ বছরে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৯ জন নারী-পুরুষ শিশুসহ মোট ২ লাখ ৩১ হাজার ৬২৬ ব্যক্তিকে সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে সরকারী আইন সহায়তা কার্যক্রমের মোট ৪৬ হাজার ৫৪৬টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে বিগত ৮ বছরে সুপ্রীমকোর্টে মোট ১ হাজার ৬৯৩টি আপীল মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তার সরকার প্রত্যেক জেলায় প্রয়োজনীয় জনবলসহ একটি করে স্থায়ী ‘লিগ্যাল এইড অফিস’ স্থাপন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সকল অফিস পরিচালনার জন্য ৬৪টি ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার’-এর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারকগণকে এসব পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে শুধু আইনী সহায়তার কেন্দ্র হিসেবে আমরা সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। বিচার প্রার্থী জনগণের কল্যাণে এটিকে আমরা ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে কাজে লাগাতে চাই। আপোস-মীমাংসা বা সমঝোতার মাধ্যমে স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে লিগ্যাল এইড অফিস কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি বলেন, ‘জুলাই ২০১৫ সাল হতে এ পর্যন্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের মাধ্যমে বিকল্প পদ্ধতিতে মোট ৩ হাজার ৫০০টি বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পরই জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট, ২০০৯ পাসের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কাজটিকে স্থায়ী রূপ দেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও মামলাজট বিচার বিভাগের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় অধস্তন আদালতে দীর্ঘদিন বিচারক নিয়োগ বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর অধস্তন আদালতে ৫৮৬ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৩৫০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং নতুন নতুন আদালত ও ট্রাইব্যুনাল স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। মামলাজট নিরসন ও মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে তার সরকার আইনী সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহ বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি সেক্টরে একজন জেলা জজসহ সাত সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে এবং জ্বালানি সেক্টরের সকল বিরোধ প্রচলিত আদালতের পরিবর্তে এই ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তার সরকার বিচার বিভাগে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার চালু করেছে। এতে বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, সরকারের অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে ৫৪০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধস্তন আদালতের দেড় হাজার বিচারকের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য সম্প্রতি ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমির সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া দাগি আসামিদের আদালতে আনা-নেয়ার পৃথক যানবাহন থাকবে এবং কারাগার থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
×