ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতায় গাড়ির দামেই মিলতে পারে নিজের বিমান

প্রকাশিত: ২২:২৫, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

কলকাতায় গাড়ির দামেই মিলতে পারে নিজের বিমান

অনলাইন ডেস্ক ॥ কলকাতার রাস্তায় এখন মাঝেমধ্যেই দেখা যায় ল্যাম্বরগিনি। পছন্দসই এই ইতালীয় চার চাকা গাড়ির ভারতের বাজারে দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। প্রায় একই দামে এ বার কলকাতায় পাঁচ আসনের বিমানও পাওয়া যাবে। শহরেরই এক ব্যবসায়ী অমিত মোদীর কথায়, ‘‘ভাবুন তো! ল্যাম্বরগিনি-র টাকায় ব্যক্তিগত বিমান! আপনি পরিবার নিয়ে হুশ করে উড়ে গেলেন দিঘা। ইচ্ছে হল, চলে গেলেন অসম বা দার্জিলিং।’’ কলকাতায় এলেই এমন একটা বিমান কিনবেন বলে ভেবে রেখেছেন অমিত। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে সজ্জন জিন্দল, ভিকি ওবেরয়-সহ কয়েক জন ওই ছোট বিমান কিনেছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কলকাতাতেও বিক্রি হবে ওই বিমান। আমেরিকার মিনেসোটায় তৈরি হয় এই পাঁচ আসনের এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট সিরাস বিমান। দাম শুরু পাঁচ কোটি থেকে। ভারতে এই বিমান বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছেন পিনাকী রায়চৌধুরী। তিনি নিজে খনি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী। এ বার ডানা মেলেছেন বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে তিনি নিয়ে আসছেন ২টি সিরাস বিমান। কয়েকটি বিমান নিয়ে আসবেন অন্ডালেও। এ রাজ্যে বিমান বিক্রি করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট অনুমতির প্রয়োজন। এখন সেই অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছেন পিনাকীবাবু। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘যিনি বিমান কিনবেন, তাঁকেও একটি লাইসেন্স করাতে হবে। তিনি বিমান কিনে রাখতে পারবেন বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে। কারও বাড়ির পাশে বড় ঘেরা জায়গা থাকলে সেখানেও রাখা যেতে পারে বিমানটি। নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচের বিনিময়ে পাইলট, জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আমরাই করে দেব।’’ মাত্র ৫০০ মিটার জায়গা পেলেই ছোট্ট এই বিমান উড়ে যেতে বা নেমে আসতে পারে। আলাদা করে রানওয়ের প্রয়োজন নেই। কোনও মাঠ থেকেও এটা উড়ে যেতে পারে। বিমানের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩১০ কিলোমিটার। একটানা পৌনে চার ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে সিরাস বিমানের। ওই বিমানের যন্ত্রাংশ কলকাতায় আনিয়ে, এখানে বসে তা জুড়ে বিমান তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে পিনাকীবাবুর। সে ক্ষেত্রে ল্যাম্বরগিনির চেয়েও কম দামে কেনা যাবে ওই বিমান। ছ’মাসের মধ্যে অন্ডালে একটি পাইলট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। ছোট বিমান নিয়ে এসে তা ভাড়ায় খাটানো হবে বলেও পিনাকীবাবু জানিয়েছেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×