ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বড় সংঘাতের আভাস ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

বড় সংঘাতের আভাস ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে কূটনৈতিক চেষ্টাই বেশি থাকবে বলেও তিনি জানান। আগামী শনিবার ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে রয়টার্সকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ায় সঙ্গে খুবই বড় ধরনের সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, অন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মতো তিনি শান্তিপূর্ণ উপায়ে উত্তর কোরিয়া সংকটের সমাধান চান। এ কারণে তাঁর প্রশাসন সামরিক পথের পরিবর্তে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করতে চাই। তবে এটা খুব কঠিন। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি চান দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাডের মূল্য পরিশোধ করুক। এর মূল্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার। ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে চান বলেও জানান। কখন ঘোষণা দেবেন জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, খুব তাড়াতাড়ি। আমি এখনই এর ঘোষণা দিচ্ছি। উত্তর কোরিয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন ট্রাম্প। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের প্রশংসা করেন। বলেন, আমি বিশ্বাস করি শি চিনপিং সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি একজন ভালো মানুষ। আমি তাঁকে খুব ভালোভাবে চিনি। তিনি ধ্বংস এবং মৃত্যু দেখতে চান না। ট্রাম্প আরও বলেন, চিনপিং চীনকে ভালোবাসেন। চীনের জনগণকে ভালোবাসেন। আমি জানি তিনি কিছু করতে পারবেন। তবে না পারারও সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অল্প বয়সে দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তাঁর মাত্র ২৭ বছর বয়স। তাঁর বাবা মারা গেছেন। এরপর তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। এই বয়সে সবকিছু সহজ নয়। ৪২ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে আবার আলাপের বিষয় নিয়ে শান্তভাবে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। এর আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপে চীন ক্ষুব্ধ হয়। রয়টার্সকে ট্রাম্প বলেন, সমস্যা হলো চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। আমি বুঝতে পারি এই পরিস্থিতে তিনি আমাদের সাহায্য করার জন্য সবকিছু করছেন। এ কারণে আমি এখন তাঁর জন্য কোনো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না। প্রথমে আমি তাঁর (শি চিনপিং) সঙ্গে কথা বলতে চাই। ইসরায়েল-প্যালেস্টাইনের শান্তি দেখতে চান বলে জানান ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সৌদি আরব নিজেদের অংশের মূল্য পরিশোধ করছে না। ইসলামি দেশগুলো প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, জঙ্গিবাদকে পরাস্ত করতে হবে।
×