ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মশা প্রতিরোধক সাবান

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

মশা প্রতিরোধক সাবান

মশা মারতে এক ভিন্ন উপায় নিয়ে হাজির হয়েছেন আফ্রিকার এক রসায়নবিদ। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক সাবান তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি। যা লাখো মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হতে পারে। সন্ধ্যার সময় শিকারের খোঁজে বের হয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী পোকা। এ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী প্রতিবছর প্রায় দশ লাখ লোক এই রোগে মারা যায়। মশা এবং এই রোগ প্রতিরোধের অভিনব এক উপায় বের করেছেন এক তরুণ রসায়নবিদ। ২০২০ সালের মধ্যে এক লাখ জীবন বাঁচাতে চান তিনি। তাঁর নাম জেরার নিয়নডিকো। এই রসায়নবিদ বলেন, ‘আফ্রিকায় দশকের পর দশক ধরে মানুষ ম্যালেরিয়ায় মারা যাচ্ছে। এই রোগ অনেক সমস্যার জন্য দায়ী এই সমস্যার সমাধান বের করতে আফ্রিকানদের কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে এটা সহজ কাজ নয়। ম্যালেরিয়াবিরোধী কার্যক্রমে প্রতিবছর দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো বিনিয়োগ করা হয়। কিন্তু এই রোগ পুরোপুরি নির্মূলের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অনেক চেষ্টা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর, বলেন জেরার নিয়নডিকো। তিনি অবশ্য এই চেষ্টা ভিন্নভাবে করতে চানÑ এক সহজ এবং কার্যকর অলৌকিক অস্ত্র ব্যবহার করে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাবান নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেননা এটা এমন একটি পণ্য যা ঝুঁঁকি থাকা মানুষদের প্রতিদিনের জীবনে সহজেই সন্নিবেশ করা যায়। আফ্রিকার ৯৫ শতাংশ বাড়িতে সাবান ব্যবহার হয়, এমনকি দরিদ্রতম পরিবারেও।’ ফাসো সাবান শুধু পরিষ্কারের জন্যই নয়, এর গন্ধও মশাকে দূরে সরিয়ে দেয়। প্রতিরোধের এই পন্থা তৈরিতে যে তেল ব্যবহার করা হয়েছে তা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ সম্ভব। রাতের বেলা মশারি মানুষকে মশা থেকে দূরে রাখলেও দিনে এবং সন্ধ্যার সময়, বিশেষ করে যখন মশারা আক্রমণাত্মক, তখন মানুষকে রক্ষার উপায় তেমন নেই। মশা প্রতিরোধক ক্রিম এবং স্প্রেগুলো দামী এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তেমন কার্যকর নয়। আর ফাসো সাবানের দাম সাধারণ সাবানের চেয়ে বেশি হবে না এবং দিনের বেলায়ও এটি সুরক্ষা দেবে। নিয়নডিকোর কথায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ছয় ঘণ্টা নিরাপত্তা দেয়া। আর তা সংক্রমণের ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে আনবে।’ সময় যত কম নষ্ট হবে, ততই মঙ্গলÑকারণ প্রতি দুই মিনিটে একটি শিশু ম্যালেরিয়ায় মারা যাচ্ছে। সূত্র : ডয়েচ ভেলে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
×