ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমদানি-রফতানিতে ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত: ০৩:১২, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

আমদানি-রফতানিতে ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ১ জুলাই থেকে আমদানি-রফতানিতে ব্যবসায়ীদের সকল ব্যাংকিং দলিলপত্রে অনলাইনে নেওয়া ৯ সংখ্যার ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সকল তফসিলি ব্যাংককে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে। সম্প্রতি পরিপত্র বুধবার তফসিলি ব্যাংকগুলোর নির্বাহী প্রদানদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরআগে গত ১০ জুলাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠায় এনবিআর। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, এনবিআরের দেওয়া পত্রের ভাষ্য মোতাবেক বর্তমানে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সকল দলিলাদি যেমন প্রোফরমা ইনভয়েস, এলসি, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্টি ইত্যাদিতে ১১ ডিজিটের বিআইএন ব্যবহার হয়। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত ১১ ডিজিটের বিআইএন এবং ৯ ডিজিটের ই-বিআইএন সমান্তরালভাবে কার্যকর থাকবে। তাই এই সময়ের মধ্যে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সকল দলিল পত্রে করদাতা প্রদত্ত যেকোনো একটি বিআইএন সংখ্যা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তাদেরকে আমদানি-রফতানি সংশ্লিষ্ট দলিল পত্রে যেকোনো একটি বিআইএন গ্রহণ করলেই চলবে। একই সাথে ২০১৭ সালের পহেলা জুলাই থেকে আমদানি-রফতানিতে শুধুমাত্র ৯ ডিজিটের বি-আইএন ব্যবহার করতে হবে মর্মে আপনাদেরকে অবহিত করা হলো। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এনবিআরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে প্রচলিত ১১ সংখ্যার মূসক সনাক্তকরণ সংখ্যা (বিআইএন) স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে। আমদানি-রফতানিসহ সকল কার্যক্রমে অনলাইনে ইস্যুকৃত নতুন ই-বিআইএন ব্যবহৃত হবে। এ অবস্থায় পুরনো ভ্যাট আইনে যারা মূসক নিবন্ধন করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের সকলকে নতুন ভ্যাট আইন ২০১২ এর আওতায় অনলাইনে নতুন ৯ ডিজিটের ই-বিআইএন নিতে হবে। এনবিআরের চিঠিতে আরো বলা হয়, ১ জুলাই থেকে সকল আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের জন্য ৯ সংখ্যার ই-বিআইএন ব্যবহার বাধ্যতামূলক। সকল ব্যাংক যাতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হলো।
×