ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়ীদের কর কমাবেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

ব্যবসায়ীদের কর কমাবেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে থেমেই ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব বিষয়ে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার একটি ছিল ট্যাক্স ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো। আর সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়ী ও করপোরেটকোম্পানির বিদেশের মুনাফার উপর বড় ধরনের কর ছাড়ের প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন তিনি।পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে আয়করে ছাড় এবং সম্পদের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার এবং আয়কর বিবরণী সহজ করার কথা বলা হয়েছে তার প্রস্তাবে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মেনুচেন বুধবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্টের কর নীতি তুলে ধরেন। শনিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের একশতম দিন পূর্ণ হওয়ার আগে তার এই প্রস্তাবকে ঐতিহাসিক বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এটাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বেশি কর ছাড়’। প্রস্তাবে করপোরেশন, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও সব ধরনের যৌথ উদ্যোগের উপর ফেডারেল আয়কর কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বিদেশে রাখা আয়ের অর্থ,প্রায় ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার, দেশে নিলে তার উপর মাত্র একবার কর আরোপ হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, এই পরিকল্পনায় একটি টেরিটোরিয়াল সিস্টেম চালুর মাধ্যমে করপোরেশনগুলোরঅফশোর ইনকামের উপর কর বন্ধ হবে। এতে বিদেশে আয়ের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের কর থেকে রেহাই পাবে। বর্তমান আইনে যেখানেই ব্যবসা করে আয় করা হোক না কেন, দেশ বা দেশের বাইরে, সবের উপর কর দিতে হয়। পরিকল্পনায় ব্যক্তি পর্যায়েবিদ্যমান সাত স্তরের কর হার কমিয়ে তিনটিতে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। এখানে সর্বোচ্চ কর হার ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বছরে দুই লাখ ডলারের বেশি আয়কারীদেরযে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ নেট ইনভেস্টমেন্ট ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় তার অবসান হবে। এছাড়া অল্টারনেটিভ মিনিমাম ট্যাক্স প্রত্যাহার এবং সম্পদের জন্য কর দেওয়ার অবসান ঘটবে। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং স্বামী-স্ত্রীর এক কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলারের বেশি হলে তাদের এর জন্য কর দিতে হয়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন,এই কর ছাড়ের ফলে আগামী শতকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে যাবে। তবে অর্থমন্ত্রী মেনুচেন বলছেন, এই পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি কর রেয়াতের সংখ্যা কমে এবং সব ধরনের ফাঁকফোকর বন্ধ হয়ে ওই ছাড়ের ঘাটতি পুষিয়ে যাবে।
×