ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় রাজীব গান্ধীকে আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০২:৩৯, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

গাইবান্ধায় রাজীব গান্ধীকে আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মালঞ্চা গ্রামের জঙ্গি তুহিন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধার বিচারিক হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সঞ্চিতা রাণী বিশ্বাস ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের কথা স্বীকার করেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৯ জুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে রাজীব গান্ধীর গ্রামের বাড়িতে নাশকতা চালানোর জন্য জেএমবির সদস্যদের গোপন বৈঠক চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। টের পেয়ে জঙ্গি সদস্যরা পুলিশের উপর হামলা ও গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জঙ্গি তুহিন মিয়া (৩৫) নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু গোলা বারুদ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে ওইদিনই রাজীব গান্ধীসহ কয়েকজনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ জানায়, রাজীব গান্ধীর বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে। তাঁদের আদি বাড়ি পাশের সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের রাঘবপুর ভুতমারা (চকদাতেয়া) গ্রামে। মালঞ্চা গ্রামের মৃত ওসমান মুন্সির ছেলে জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধী। গত ১৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় জাহাঙ্গীর আলমকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গুলশান হামলায় জড়িত যে কয়জনকে জীবিত ধরা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রাজীব গান্ধী অন্যতম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজীব গান্ধী গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি নেতা তামিম চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের সঙ্গে গুলশান হামলার পরিকল্পনায় তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি, টাঙ্গাইলের দরজি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার, পাবনার পুরোহিত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে, রংপুরের মাজারের খাদেম রহমত আলী, কুষ্টিয়ার চিকিৎসক সানাউর, পঞ্চগড়ের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর, দিনাজপুরের হোমিও চিকিৎসক ধীরেন্দ্রনাথ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীসহ ২২টি হত্যার ঘটনায় সে পরিকল্পনাকারী ছিল।
×