ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাহজালালে বিমান ওঠানামায় বিলম্ব

যশোরে ঝড়ের কবলে নভো এয়ারের ফ্লাইট, বিপর্যয় থেকে রক্ষা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

যশোরে ঝড়ের কবলে নভো এয়ারের ফ্লাইট, বিপর্যয় থেকে রক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে রবিবার সন্ধ্যা থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৭ ফ্লাইট ওঠানামায় বিলম্ব হয়েছে। ফ্লাইট সূচী পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ফ্লাইট স্ট্যাটস ডটকম জানায়, রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে উড়ে যেতে বিলম্ব করেছে। একই কারণে গত ১২ ঘণ্টায় নয়টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঢাকায় সময়মতো নামতে পারেনি। নভো এয়ারের একটি ফ্লাইট যশোরে ঝড়ের কবলে পড়ে অল্পের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঢাকা থেকে যেসব ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে সেগুলো হলোÑ কুয়ালালামপুরের এয়ার এশিয়া, কুয়ালালামপুরের মালিন্দো এয়ার, দুবাইয়ের এমিরাটস এয়ারলাইন্স (দুটি ফ্লাইট), ব্যাংককের থাই এয়ারলাইন্স, দোহার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কাতার এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, কলকাতার স্পাইস জেট, কাঠমা-ুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশে নামতে বিলম্ব হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ দোহা থেকে আসা কাতার এয়ারওয়েজ, দোহা থেকে আসা বিমান এয়ারলাইন্স, ব্যাংককের থায় এয়ারওয়েজ, মাস্কাটের ওমান এয়ার, কলকাতার স্পাইস জেট, দুবাইয়ের এমিরাটস, রিয়াদ থেকে আসা সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, কলম্ব থেকে আসা শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স এবং কুয়ালালামপুর থেকে আসা মালিন্দো এয়ারের একটি ফ্লাইট। এদিকে বেসরকারী এয়ারলাইন্স নভোর ঢাকা যশোর রুটের সন্ধ্যার ফ্লাইট বড় ধরনের ঝড়ের কবলে পড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পায়। পাইলটের অদক্ষতায় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এতে যাত্রীরা চরম ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বেশ কজন যাত্রী বমি করে এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মধ্য আকাশে ঝড়ের মাঝে সময়ক্ষেপণ করার সময় যাত্রীরা ভয়ে কান্নাকাটি করেছে। পাইলটের ভুল সিদ্বান্তের কারণে এমনটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই ফ্লাইটের যাত্রী পায়রা বন্দরের মেরিন কনসালটেন্ট ক্যাপ্টেন শরীফ। তিনি বলেন, এমনিতেই এক ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা থেকে ছাড়া ওই ফ্লাইট টেক অফ করার মিনিট দশেক পরই ঝড়ের কবলে পড়ে। যশোর ও আশপাশ এলাকায় তখন প্রচ- ঝড় হচ্ছিল। এটা জেনেও পাইলট ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করার জন্য রানওয়ের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু দুশো ওপর থেকে যাত্রীরা দেখতে পান রানওয়ের দুই পাশে কোন ধরনের লাইট জ্বলছে না। এটা বিপজ্জনক মনে করে যাত্রীরা অবতরণ না করার অনুরোধ জানালে পাইলট আবার কয়েক হাজার ফুট ওপরে উঠে উড়তে থাকেন। এ সময় প্রচ- ঝাঁকুনির দরুন যাত্রীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি নেমে আসে। কজন যাত্রী বমি করে দেয়। কজন অসুস্থ হয়ে পায়খানা করে কাপড় নষ্ট পর্যন্ত করেছে। শরীফ বলেন, এক ঘণ্টা যশোরের আকাশে কাটানোর পর হঠাৎ বিকট শব্দে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। পাইলটের অদূরদর্শিতা ও ভুল সিদ্বান্তের দরুন এ রকম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। কেননা তার উচিত ছিল ঢাকা থেকে ফ্লাইট ছাড়ার আগে যশোরের আবহাওয়া রিপোর্ট হাতে নেয়া। দ্বিতীয়ত, সেখানে অবতরণ করতে না পারায় আকাশে এক ঘণ্টা উড়াটা ছিল আরও বিপজ্জনক। এটা তাৎক্ষণিক যাত্রীদের পক্ষ থেকে নভোর ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন সাইফুলকে অবহিত করা হয়েছে।
×