ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ডিবির ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

চট্টগ্রামে ডিবির ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদা দাবির অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যক্তি, যিনি পাঁচ মাস আগে দুই হাজার ‘জাল’ স্ট্যাম্পসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জাল স্ট্যাম্পের মামলা থেকে বাঁচতেই ওই ব্যক্তি ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ অভিযোগ করেছেন। সোমবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন মো. মঈন উদ্দিন। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে এএসপি পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘটনা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগকারীর আইনজীবী আমিন আহমেদ জানিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন- নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী, এসআই সেকান্দর আলী, এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন, এএসআই মো. আজহারুল ইসলাম, এএসআই মো. আবদুল ওয়াদুদ, কনস্টেবল মো. আরমান হোসেন, মো. খোরশেদ আলম ও উকিল আহম্মেদ। বাদি মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর আসামিরা তার কর্মস্থল কোর্ট বিল্ডিংস্থ আইনজীবী ভবন-১ এর ৬১ নং কম্পিউটার কম্পোজ দোকানে এসে নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতির অবতারণা করে আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সিএমপির ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে তারা আমাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলেই মারধর এবং কিল ঘুষি মারতে থাকে। তারা আমার মোবাইল ফোন পকেটে থাকা মানি ব্যাগ থেকে ৩ হাজার ৯০ টাকা নিয়ে নেয়। পরদিন আমাকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে দেয়। বাদি তার অভিযোগে আরো জানিয়েছেন, তার গ্রামের বাড়ি রাউজানের ১৪নং বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি ৩নং ওয়ার্ডে। সেখানে পারিবারিকভাবে কিছু বিষয় সম্পত্তি নিয়ে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে পূর্ব থেকে বিরোধ এবং মামলা পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়। মূলত তাদের যোগসাজসে আমাকে ফাঁসানোর জন্য ডিবি পুলিশকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। ডিবির মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর চলতি বছরের ১৬ মার্চ বাদী জামিন লাভ করে কারাগার থেকে বের হন এবং ন্যায় বিচার পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন বলে আদালেতকে জানান মঈন উদ্দিন।
×