ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়ী হত্যা মামলা

নাগরী ও সুমিকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

নাগরী ও সুমিকে ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক কাস্টমস কমিশনার শাহাবুদ্দীন নাগরীসহ দুইজনের আবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শুনানি শেষে রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেনÑ নিহত ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের স্ত্রী নুরানী আক্তার সুমি। আর গাড়িচালক সেলিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতলুবর রহমান আসামি শাহাবুদ্দীন নাগরী এবং সুমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা গুরত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। কিছু তথ্য গোপন করেছে এবং কিছু অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে এবং ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কি না, তা জানার জন্য তাদের পুনরায় দশ দিনের রিমান্ডের প্রয়োজন। এ সময় আসামি শাহাবুদ্দীন নাগরীর পক্ষে তার আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়Ñ তাহলে আবার রিমান্ডে নেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা শুনতে পাচ্ছি, শ্বাসকষ্ট বা হার্ট এ্যাটাকে তিনি মারা গেছেন। এখানে রিমান্ডের কোন যৌক্তিকতা নেই। এ জন্য তাদের রিমান্ড না মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। এ যুক্তি খন্ডন করে রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিরাশ উদ্দিন বলেন, এটা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। পরিকল্পিতভাবে নূরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। তার যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। কিছু তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সামনে এগিয়ে যাব। শাহাবুদ্দীন নাগরীর পক্ষে আইনজীবী থাকলেও সুমির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না। আদালতকে কিছু বলার আছে কি না, তা জানতে চান বিচারক। বিচারক বলেন, আপনার পুনরায় দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আপনি কিছু বলবেন। সুমি বিচারককে বলেন, তার কিছু বলার নেই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়। গত ১৭ এপ্রিল তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
×