ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ট্রানজিট সুবিধায় উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হতে চায় ত্রিপুরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

ট্রানজিট সুবিধায় উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হতে চায় ত্রিপুরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার বা গেটওয়ে হতে চায় ত্রিপুরা। সেক্ষেত্রে আগরতলার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ কানেকটিভিটির যতো উন্নয়ন ঘটবে ততই ব্যবসার প্রসার হবে বলে মনে করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে পণ্যবাহী গাড়ি সরাসরি ত্রিপুরা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার সুযোগ চান বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৭শ’ কিলোমিটার। আর চট্টগ্রামের দূরত্ব মাত্র ১৪০ কিলোমিটার। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নেই কোন নৌ-বন্দর। ভারতের মূল ভূখ-ের সঙ্গেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি দুর্বল। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে চায় ত্রিপুরা। সে সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হতে চায় আগরতলা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে শুরু করে ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা দারুণ উন্নতির শিখরে যাবে। যেটা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও চান। এই ত্রিপুরায় হবে আমাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিংহদুয়ার।’ ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ত্রিপুরায় ৩৮৩ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করে। ত্রিপুরা বাংলাদেশে রফতানি করেছে ১ কোটি টাকারও কম। এ কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে নৌ, রেল, সড়কপথের মাধ্যমে যত দ্রুত কানেকটিভিটি বাড়বে তত আমদানি-রফতানি বাড়বে বলে মনে করেন ত্রিপুরার ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এম এল দেবনাথ বলেন, ‘উৎপাদন বেশি হলে আমরা যেমন বাংলাদেশকে দিতে পারি। বাংলাদেশ থেকেও তা এই অঞ্চলে রফতানি করা যেতে পারে। এটা হলে উভয় দেশের অর্থনীতির পক্ষে ভাল হবে।’ ইজারায় কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ভারতীয় গরু পারাপার স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ জেলা সদরের অধীন অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি ফেরিঘাট ইজারা না হওয়ায় সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়েছে। এর একটি বাখের আলী তালখাম্পা অপরটি ভাগরথী জোহরপুর। পদ্মা নদীর এই দুটি ফেরিঘাটের বর্তমান ইজারাদাররা দরপত্রে অংশ না নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা নেয়। ইজারাদাররা কৌশলে কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে উচ্চ আদালতে গেলে গত বছরের মূল্যের সঙ্গে ১০ ভাগ মূল্য যোগ করে তাদের অনুকূলে ঘাট দুটি প্রদানের নির্দেশ দেয়। প্রতিযোগিতা মূল্যে ঘাট দুটো ইজারা না হবার কারণে সরকার প্রায় কোটি টাকা হতে বঞ্চিত হয়েছে। ১৪২৪ সালের জন্য একটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ২৭৪ টাকা, অপরটি ৭৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৯১ টাকা মূল্য ধরা হয়। কিন্তু কেউ দরপত্র উত্তোলন না করায় গত বছরের ইজারাদাররা কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ ভাগ অতিরিক্ত দিয়ে কেনার চেষ্টা করে। কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করলে তারা কোর্টে যায়। এখানে উল্লেখ্য, দুটি ঘাট দিয়েই ভারতীয় গরু আসে। প্রশাসনের অভিযোগ ইজারাদাররা সিন্ডিকেট করে দরপত্র না কিনে কমমূল্যে ঘাট নেবার কৌশল করেছিল। সদর উপজেলা কর্মকর্তা ইফতেখার শামিম জানান উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে।
×