ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে এনবিআর

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সময়ে গেল অর্থবছর থেকে পাঁচ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও মূল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেশ পিছিয়ে আছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় বড় ঘাটতি থাকায় চলতি অর্থবছরেও ১৮ হাজার টাকা কমিয়ে এনবিআরকে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে জাতীয় সম্পদ কমিটি। এনবিআরের দাবি, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবতার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ১৪ শতাংশ। এরপরও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এনবিআরকে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়। অর্থনীতিবিদরা এই লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাসী বললেও, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, এটি আদায়ের সক্ষমতা এনবিআরের আছে। বাস্তবতা হলো, মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১১ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে এনবিআর। তাই বিগত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কমানো হয়েছে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা। তবে কর্মকর্তাদের দাবি, বাজেটে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য ছিল না। এনবিআর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও অন্যান্য বাস্তবতা সবকিছু মিলিয়েই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।’ তবে শেষ তিন মাসে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাওয়ার আশা এনবিআরের। এ প্রসঙ্গে এনবিআর এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘শেষ কোয়ার্টারে আয়কর, ভ্যাট সংগ্রহে আমাদের কর্মকা-গুলো চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। আধুনিক নীতিমালা অনুযায়ী যারা ভাল কাজ করছেন তাদের স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।’ এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের মতে, প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা বজায় থাকলে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে করের আওতা বাড়ানো ও কর ফাঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যানের। ১০ বছরের জন্য কর অব্যাহতি চায় বিজেএমএ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাটশিল্পের উন্নয়নে আগামী ১০ বছরের জন্য সব ধরনের কর থেকে অব্যাহতি চায় বেসরকারী পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিলস এ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো এক চিঠিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনটি জানায়, পাটশিল্পের উন্নয়ন, বিকাশ ও সম্প্রসারণের জন্য বিশেষ বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ১০ বছরের জন্য সব ধরনের কর থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক। এ বিষয়ে বিজেএমএ সচিব এ বারিক খান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণগুলোর মধ্যে পাট ও পাটপণ্য হলো অন্যতম প্রধান কারণ। আমাদের দেশের পাট ও পাটপণ্যের রফতানি আয় দিয়েই আমাদের বঞ্চিত করেছিল তখনকার পশ্চিম পাকিস্তানীরা।
×