ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষক কর্তৃক শিশুছাত্রকে যৌন নির্যাতন

প্রকাশিত: ০২:০৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

শিক্ষক কর্তৃক শিশুছাত্রকে যৌন নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসার ছাত্রকে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ার বুড়াবুড়ি দারুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক যৌন নির্যাতন করায়, রক্তক্ষরনের কারনে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের মজনু হাজীর ছেলে হাফেজ আব্দুর রহিম পাশ্ববর্তী সাদুল্লাপাড়া গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে রমজানুল হক রূমন (৯)সহ ৭ শিশুকে লিল্লাহ বোডিংয়ে রেখে পবিত্র কোরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের কাছে প্রস্তাব দেন। অভিভাবকরা সম্মতি দিলে ৩ মাস আগে তিনি ওই ৭ শিশুকে পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি দারুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় নিয়ে যান। সেখানে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুর রহিম শিশুদের সাথে যৌন নির্যাতন (বলৎকার) করেন। ঘটনা জানাজানি হলে হাফেজ আব্দুর রহিম মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ার সংবাদ পেয়ে অভিভাবকেরা মাদ্রাসায় গিয়ে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যান। অভিভাবক আলম হোসেন তার অসুস্থ শিশুপুত্রকে ২২ এপ্রিল বীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন শিশু রুমন জানায়, এ রকম ঘটনা মাদ্রাসার ছাত্র আরমান (১০) ও ফুল মিয়া’র (১২) সাথেও হুজুর করেছেন। রবিবার শিশু রুমনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাহামুদুল হাসান পলাশ জানান, শিশুটিকে বলৎকার করায়, মলদ্বার ক্ষত ও রক্তক্ষরনের কারনে ঘায়ের সৃষ্টি ও পেটে ময়লা জমে জটিল সমস্যা হয়েছে। তাই শিশুটিকে দ্রুত দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুড়াবুড়ি দারুল উলুম নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি তারেক চেয়ারম্যান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অনৈতিক চরিত্রের কারনে হাফেজ আব্দুর রহিমকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেছে। শিশু রুমনের অভিভাবক আলম হোসেন জানায়, অভিযুক্ত হাফেজ আব্দুর রহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মোগোপন করে আছে। তিনি হাফেজ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
×