ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্থনীতির টু ক রো খ ব র

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

অর্থনীতির  টু ক রো  খ ব র

মজুদ সত্ত্বেও ছোলার বাজার অস্থির চাহিদার চেয়ে বাড়তি আমদানি হয়েছে রমজানের অন্যতম ভোগ্যপণ্য ছোলা। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের গুদামে পণ্যটির পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত তিনদিনে ছোলার মণপ্রতি দাম ৪০০ টাকা বেড়েছে। অতি মুনাফালোভী কিছু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীর কারসাজিতেই পণ্যটির বাজারে হঠাৎ এ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সম্প্রতি প্রতি মণ অস্ট্রেলীয় ছোলা ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ গত শনিবারও বাজারে একই মানের ছোলা ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে মাত্র তিনদিনেই খাদ্যপণ্যটির দাম মণপ্রতি ৪০০ টাকা বেড়েছে। আসন্ন রমজানে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে একটি সিন্ডিকেট পণ্যটির দাম বাড়িয়েছে। বর্তমানে যেসব ছোলা মণপ্রতি ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তা আমদানিতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা খরচ হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি মণ ছোলায় কমপক্ষে ৬০০ টাকা মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) দেশে মোট ২ লাখ ৫৩ হাজার টন ছোলা আমদানি হয়েছে। এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আমদানি হয়েছে আরও ৫৬ হাজার টন ছোলা। এদিকে ট্যারিফ কমিশন ও সরকারী হিসাব মতে, প্রতি মাসে ছোলার চাহিদা রয়েছে গড়ে ১২ হাজার টন। এ হিসাবে দেশে ছোলার বার্ষিক চাহিদা ১ লাখ ৪৪ হাজার টন। ব্যবসায়ীরা জানান, যে পরিমাণ ছোলা আমদানি হয়েছে, তাতে বাজারে সঙ্কট থাকার কথা নয়। চলতি মাসেও ছোলা আমদানি হচ্ছে, যা রমজান ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়বে। রমজানের আগমুহূর্তে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকেও ছোলা আমদানি হবে। কিন্তু কিছু আমদানিকারক আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে পণ্যটির বাজার অস্থিতিশীল করেছে। অর্থনীতি ডেস্ক মার্কিনীরা কমিয়ে দিয়েছেন কেনাকাটা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে মার্কিনীদের অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ দিয়ে নতুন একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সরকারী প্রকল্পে বিদেশী ঠিকাদার বা কোম্পানি কাজ না পায়, তা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য সফরকালে ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশে সই করেন। ট্রাম্পের নতুন ঘোষণাও আসে এতে, ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’। অর্থাৎ জনগণের উদ্দেশে ট্রাম্পের আহ্বান হলো মার্কিন পণ্য কিনুন, দেশের মানুষকে কাজে নিয়োগ দিন। তবে দেশটির জন্য ভীতিকর বাস্তবতা হচ্ছে সব মিলিয়ে কেনাকাটাই কমিয়ে দিয়েছেন মার্কিনীরা। তাই পণ্যটি কোথায় তৈরি হচ্ছে বা কোন দেশের, তা তাদের কেনাকাটায় কোন প্রভাবই ফেলতে পারছে না। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে খুচরা কেনাকাটা অনেক কমেছে দেশটিতে। সম্প্রতি প্রকাশিত দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালের পর এত বেশি কৃপণতা আর দেখেননি মার্কিন বিক্রেতারা। এ অবস্থা অর্থনীতিতে আঘাত ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। অর্থনীতি ডেস্ক জনমুখী অর্থনীতি বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বদলে যাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি। বদলে যাওয়া অর্থনীতি হলো জনমুখী, আর এই বিপুল জনগোষ্ঠীর শ্রমে, ঘামে ফুলে ফেঁপে উঠছে বাংলার অর্থনীতি, সমৃদ্ধ অর্থনীতির মূলে যে জনগণ, সে জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে বর্তমান সরকার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সুস্থ জাতিই পারে সুস্থ অর্থনীতি গড়ে তুলতে। সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রেইন চাইল্ড প্রকল্প কমিউনিটি ক্লিনিক। বর্তমান স্বাস্থ্য সেবার সবচেয়ে আলোচিত ও সফল প্রকল্প। ২০০১ এ যাত্রা শুরু মাঝপথে রাজনৈতিক কারণে বন্ধ, ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছে। মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ পৌঁছে দেয়াই এর লক্ষ্য। ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য বুলেটিন হিসেবে বর্তমান ১৩ হাজার ৩৩৬টি সিসি, ১৪ হাজার সিএইচসিপি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জনগণের স্বাস্থ্য সেবায়। কমিউনিটি ক্লিনিক নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে অর্থনীতিতে। সিসিগুলোর মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগণ তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে বিনামূল্যে। যেখানে ৩০ প্রকার ওষুধ, সাধারণ রোগ, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিনামূল্যে পেয়ে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে ১২টি সিসি হতে মোট ৮২ হাজার ৫৭৮ বার সাধারণ রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়, এবং ২০০৯-২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৪ বার সেবা প্রদান করা হয় সিসির মাধ্যমে। ২০১৬ সালের হেলথ বুলেটিন এর সূত্রমতে, এই খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রতি ক্লিনিকে বাৎসরিক ওষুধ প্রদান করা হয় ০.১১৩ মিলিয়ন টাকার। ২০০৯-১০ সালে ছিল ০.০৭২ মিলিয়ন টাকার। আবার এই সিসিগুলোর জমি ও অনুদানপ্রাপ্ত অর্থে গড়ে উঠেছে বিশাল অঙ্কের তহবিল, যা ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এভাবে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে গড়ে উঠছে কর্মক্ষম জাতি, আজকের শিশু আগামী অর্থনীতির ভবিষ্যত, তাই শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত অর্থনীতির বুনিয়াদ সৃষ্টিতে নীরব ভূমিকা পালন করছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। ২০৪১ সালের মধ্য উন্নত দেশ গড়া ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ সেবার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই এর স্থায়ী রূপ দেয়া সময়ের দাবি। মঞ্জুর মোর্শেদ সুমন
×