স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশে নারীর অংশগ্রহন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খুব শিগগিরই পুলিশে নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশে উত্তীর্ণ করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (পিএসসি) কনভেনশন হলে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এদিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন এ্যাওয়ার্ড ২০১৭ প্রদান করা হয়েছে। সাতটি ক্যাটাগরিতে ২টি প্রতিষ্ঠান ও ২১ জন নারী পুলিশ সদস্যকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশ পুলিশ একটি জেন্ডার সংবেদনশীল সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠছে। পুলিশে নারীর অবস্থান দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। নারী পুলিশের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নারীরা পুলিশের উচ্চপদে আসীন হচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশে নারীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ২/১ বছরের মধ্যে পুলিশে নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১২ হাজারের বেশি নারী পুলিশে কাজ করছে। থানায় নারী পুলিশ সদস্যের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো হচ্ছে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে নারীদের পদায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফাতেমা বেগম বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম নারী। কিছুদিন পূর্বে তিনি অবসর গ্রহন করেছেন। তিনি আমাদের গর্ব, নারী পুলিশের গর্ব। ভবিষ্যতেও পুলিশে স্থানীয় পদে আরও অধিক সংখ্যক নারী নিযুক্ত হবেন বলে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা পুলিশিংয়ের মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় অনবদ্য অবদান রাখছেন। তাদের কর্মকুশলতা ও পেশাদারিত্ব অত্যন্ত উঁচুমানের। নারী পুলিশ সদস্যরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য কাজে অত্যন্ত সাফল্য প্রদর্শন করছেন। নারী পুলিশ নিয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও উইমেন এ্যান্ড ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত নারীরা কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। বাংলাদেশ পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্যাতিত নারী ও শিশুদের একান্ত নির্ভরতা ও আশ্রয়স্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহ্মেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিডব্লিউএন সভাপতি ডিআইজি মিলি বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ডিআইজি মিলি বিশ্বাস, নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশে নারীর অংশগ্রহন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: