অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই নির্বাচনে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদের প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনটিন বর্তমান প্রথম সহসভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। আগামী দুই একদিনের মধ্যে আরেকটি প্যানেলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবেও অনেক প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পূর্বানী হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক নেতাদের উপস্থিতিতে মহিউদ্দিন নিজের প্যানেল সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, এ কে আজাদ, মেয়র আনিসুল হক, সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং মো. জসিম উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেলে এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৮ জন এবং চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ্যাসোসিয়েশন সদস্যরা হলেন, সুইয়িং থ্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েশনের আব্দুল হক, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার মেশিনারিজ মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর এ্যাসোসিয়েশনের এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউট সোর্সিংয়ের সাফকাত হায়দার, বাংলাদেশ অটো স্পেয়ার পার্টস মার্চেন্ট এ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের আবুল আয়েস খান, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এ্যাসোসিয়েশনের মুনতাকিম আশরাফ, বাংলাদেশ হার্ডবোর্ড ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের নিজামুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ লেদারগুড ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের আমজাদ হোসাইন, বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের আবু মোতালেব, বারবিডার হাবিবুল্লাহ ডন, রেস্টুরেন্ট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের খন্দকার রুহুল আমিন, সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্যাট ইমপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশেনের নিজামুদ্দিন রাজেশ, ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের হাফেজ হারুন, ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশনের শমী কায়সার, আউট সোর্সিং এ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস প্রোভাইডার এ্যাসোসিয়েশনের আবু নাছের, প্রাইভেট রেডিও ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি।
এছাড়া চেম্বার গ্রুপ থেকে বাগেরহাট চেম্বারের হাসিনা নেওয়াজ, টাঙ্গাইল চেম্বারের আবুল কাশেম আহমেদ, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বারের নিজাম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের আজিজুল হক, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দীলিপ কুমার আগারওয়াল, কুমিল্লা চেম্বারের মাসুদ পারভেজ খান, ফেনী চেম্বারের একেএম শাহেদ রেজা, গাজীপুর চেম্বারের মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, গোপালগঞ্জ চেম্বারের শেখ ফজলে ফাহিম, জামালপুর চেম্বারের রেজাউল করিম রেজনু, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের কাজী গোলাম আশরিয়া, লালমনিরহাট চেম্বারের শেখ আব্দুল হামিদ, মানিকগঞ্জ চেম্বারের তাবারুকুল তোসাদ্দেক হোসাইন খান টিটু, মুন্সিগঞ্জ চেম্বারের কোহিনূর ইসলাম, নরসিংদী চেম্বারের প্রবীর কুমার সাহা, নোয়াখালী চেম্বারের মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূইয়া, রাঙ্গামাটি চেম্বারের মোহাম্মদ বজলুর রহমান এবং সুনামগঞ্জ চেম্বারের খায়রুল হুদা চপল। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার আগে সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনে যারাই জিতুক, ব্যবসায়ীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশে ছোট ও মাঝারি দুই কোটি ১৪ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের সমস্যা সমাধানে ও সক্ষমতা বাড়াতে আমরা কাজ করব। নির্বাচিত হতে পারলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করব।
সালমান এফ রহমান বলেন, এফবিসিসিআইয়ের সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচনের আকাঙ্খার কথা বিভিন্ন সময় শোনা যায়। সেক্ষেত্রে কিছু সংস্কার প্রস্তাব আমি সরকার ও বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে দিয়ে রেখেছি। এবারের নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব যারা আসবে, তারা সংস্কারের কাজ হাতে নেবে বলে আমি আশা করি। সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা ইউনিটি থাকা উচিত। এক্ষেত্রে তারা দেশে একটি উদাহরণ হতে পারে।
