ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবারো রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর আশঙ্কা

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২০ এপ্রিল ২০১৭

এবারো রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর আশঙ্কা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ সিন্ডিকেট এবং মজুদদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে প্রতি বছরের মতো এবারো রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর আশঙ্কা করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে রমজানে ছোলা, চিনি এবং ভোজ্য তেলের দাম নিয়েই বেশি কারসাজি চলে। এ অবস্থায় মজুদদারি ঠেকাতে রমজানের আগেই বাজার মনিটরিংয়ের কথা বলছেন তারা। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হয়রানি প্রতিরোধে মজুদদারি আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। রমজানকে সামনে রেখে প্রতি বছরই ভোগ্য পণ্যের বাজারের একই চিত্র। ছোলা, চিনি এবং তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য নিয়ে চলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজি। পর্যাপ্ত আমদানি স্বত্বেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় এসব ব্যবসায়ী। পুরো রমজান মাসে বাংলাদেশে চিনির চাহিদা থাকে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া ভোজ্য তেলের চাহিদা থাকে সোয়া দু’লাখ মেট্রিক টন ও ছোলা দেড় লাখ মেট্রিক টন। কাস্টম হাউজের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন চিনি, ১৫ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল এবং পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি হয়েছে। তারপরও রয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের মজুদদারির আশংকা। চট্টগ্রাম ক্যাব সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘যে স্টকগুলো আছে সেগুলো তারা তাদের আওতায় নিয়ে আসে। যখন তারা সবগুলো পণ্য নিয়ে আসে তখন তারা সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়। আর যখনই সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায় তখনই দাম বেড়ে যায়।’ প্রতি বছর রমজান মাসেই বাজার মনিটরিংয়ের তোড়জোড় শুরু করে জেলা প্রশাসন। বেচাকেনার চূড়ান্ত সময় এ ধরণের অভিযানে ক্ষুব্ধ হন ব্যবসায়ীরা। মজুদদারির অভিযোগ, অস্বীকার করে এ ধরণের অভিযান না করেই আমদানি পর্যায়ে তদারকির দাবি তাদের। খাতুনগঞ্জ ট্রেড এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, ‘ভারতের ক্রেতা হয় তখন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সেজন্য দেশের মোট চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করে মজুদ রাখতে হয়। আর যে মজুদ আইন আছে সেটি যদি সংশোধন করলে ব্যবসায়ীদের যে দুর্নাম হয় সেটি আর থাকবে না।’ সবুজ ট্রেডার্স মালিক শাহেদ উল আলম বলেন, ‘কি পণ্য বন্দর থেকে আসছে আর খরচ হচ্ছে সেটি যদি তদারকি করা যায় তাহলে মজুদদারি বলে আর কিছু থাকবে না।’ এবার চাহিদার তুলনায় বেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি হওয়ায় মজুদদারি ঠেকাতে আগেভাগেই মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি মণ চিনি ২১৪০ টাকা, ছোলা ২৬০০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ২৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ তিনটি পণ্যের দামই কমেছে।
×