ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অমিত দাস

বানোয়াট কেচ্ছা!

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২০ এপ্রিল ২০১৭

বানোয়াট কেচ্ছা!

আমার মনে হয় দেশ বিক্রির বিষয়টি একটি বানোয়াট ও রাজনীতিবিদের গালগপ্প। এটি একটি জাতির জন্য অশুভ অপশক্তির তৎপরতা এবং বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কালো থাবা। এই থাবা আজ সারা বাংলায় বিস্তারিত। গানের ভাষায় বলতে হয় : ওঁত পেতে থাকা শেয়াল শকুন ওঁৎ পেতে থাকা হায়না ধ্বংসের খেলা খেলে চলে যারা মানুষের ভাল চায় না তাদের জন্য সদা জাগ্রত সতর্ক চোখ রাখা স্বাধীন দেশেই উড়বেই যেনো স্বাধীন পতাকা সবুজের বুকে লাল, সে তো উড়বেই চিরকাল। ওরা হচ্ছে ওঁৎ পেতে থাকা শেয়াল শকুনের মতো। এতদিন শুনে আসছি মাছ মুরগি চাল ডাল আলু পটোল চা-চিনি গরু ছাগল বাজারে বেচা কেনা হয়। এসব নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু সামগ্রী ব্যক্তি তার চাহিদা পূরণ করার জন্য বাজার থেকে ক্রয় করে থাকেন। এগুলো বাজার বিনিময়যোগ্য কিন্তু রাতের অন্ধকারে কোটি কোটি দেশপ্রেমিক বাঙালীকে বোকা বানিয়ে কোন রাজনৈতিক পক্ষ দেশের সার্বভৌমত্ব বিদেশীদের হাতে বিকিয়ে দেবে এমনটি ভাবাটা একেবারে অযৌক্তিক এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার ব্যাপার। ঘোলা জলে মাছ শিকারের মতো দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকা- যেমন পাকিস্তান ভেঙ্গে গেলে ইসলাম বিপন্ন হবে। মসজিদে আজান শোনা যাবে না। এসব কথা বলে বলে সাধারণ মানুষের আবেগের আগুনে ষড়যন্ত্রকারী রাজনীতিবিদরা ঘি ঢেলে দিতেন। ফলে যে রাজনৈতিক পক্ষটি ক্ষমতায় থাকত তারা জনরোষের কবলে পড়ত। এভাবে গুজব রটিয়ে জনগণের আবেগকে উস্কিয়ে দিয়ে কার্যত জনগণের সুখ শান্তি, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নকে বিনষ্ট করা। দেশ-দুশমনরা দেশের ভাল চায় না কখনই। দেশের মানুষ দুবেলা খেয়ে পরে সুখে শান্তিতে দিন কাটাক এটা বাংলাদেশের বেঈমানরা কখনও চায় না। দেশের দুর্দশা দেখে তারা দুঃখিত হন না। বরং দেশের বিপদ বিনাশ সামগ্রিক বিপর্যয় তাদের কাছে এক ধরনের বিনোদন। এ সকল বদ বুদ্ধির মানুষগুলো দেশের ও দশের অমঙ্গল ঘটাতে সর্বদা নিজেদের মস্তিষ্ক চালনা করে। বাংলাদেশের ধ্বংস সাধন করাই এদের একমাত্র লক্ষ্য। বাঙালীর দেশপ্রেম ইস্পাত কঠিন দেশদ্রোহীর সকল অপচেষ্টা রুখে দেয়ার মতো শক্তি সাহস বীর বাঙালীর রয়েছে। শত্রু শিবির বাঙালীর দেশপ্রেমের দেশ রক্ষার শপথের শক্তির কাছে পরাজিত হতে বাধ্য। এদেশের যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশ বিরোধিদের দেশের উন্নয়ন বাঞ্চাল করার সকল চেষ্টা নস্যাত করে দিতে হবে। কোন প্রকার অরাজকতা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা যাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের সমাজ কাঠামোটিকে ভেঙে দিতে না পারে। সে ব্যাপারে আমাদের দেশপ্রেমিক যুব সমাজকে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে পাহারা দিতে হবে। চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজ, নেত্রকোনা থেকে
×