ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শুধু মুনাফার জন্য চললে বেসরকারী ভার্সিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

শুধু মুনাফার জন্য চললে বেসরকারী ভার্সিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ন্যূনতম শর্ত পূরণ না করে কেবল মুনাফা অর্জনে ব্যস্ত থাকা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হুঁশিয়ার করলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আইন গ্রাহ্য না করে শুধু মুনাফার লক্ষ্যে চলছে। তাদের বেশি দিন চলতে দেয়া হবে না। যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান করছে, তাদের শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে। শনিবার রাজধানীর সাতারকুলে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রেজওয়ান খান এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা প্রমুখ। সমাবর্তনে এবার এক হাজার ৬১০ শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সনদ দেয়া হয়, কৃতিত্বপূর্ণ ফলের স্বর্ণপদক দেয়া হয় ৬ শিক্ষার্থীকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। আশা করি, যারা আন্তরিক তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন, না হলে আমাদের কোন বিকল্প থাকবে না। দেশের বাস্তবতা ও জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সার্বিক খরচ কমাতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করার কৌশল আয়ত্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে এমন ধরনের বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা জাতীয় জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তা কাজে লাগাতে পারে। তিনি বলেন, জ্ঞান ও মেধার প্রয়োগে সৃজনশীলতা ও উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের কোন সীমা বা শেষ নেই। জীবনভর তা আয়ত্ত করে আরও বড় সাফল্য অর্জন সম্ভব। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী এবং দৃঢ়। ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান পেতে চাই। দারিদ্র্য দূরীকরণ এখনও আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। নারী শিক্ষায় আমরা সার্কভুক্ত সব দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জন করেছি।
×