ভারতের সঙ্গে চুক্তির সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি

বিডিনিউজ জানায়, শেখ হাসিনার সফরে ভারতের সঙ্গে কতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার সংখ্যা নিয়ে নানা রকম তথ্য এসেছে। শনিবার হায়দরাবাদ হাউসে শীর্ষ বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মোট ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের তথ্য জানিয়ে তার তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে তোলা হয়। এরপর দুই দেশের যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়, তাতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের সঙ্গে ‘বিজনেস ডকুমেন্ট’ মিলিয়ে ৩৪টি দলিল স্বাক্ষরের কথা জানানো হয়। সন্ধ্যায় নয়া দিল্লীর হোটেল তাজমহলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হক জানান, দুই দেশের মধ্যে মোট ৩৬টি দলিল সই হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩৬টি এমওইউ, এগ্রিমেন্ট এবং এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) স্বাক্ষরিত হয়েছে।’ চুক্তির সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির কথা ভারতের সাংবাদিকরা জানালে শহীদুল হক তাদের নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সেই প্রশ্ন করার পরামর্শ দেন। ৩৬টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি কী কী নিয়ে- তা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখনও গুনে শেষ করতে পারিনি।’ এর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোহিতা বাড়ানোর পাশাপাশি সামরিক কেনাকাটায় ৫০ কোটি ডলারের একটি ঋণ সহায়তার সমঝোতা স্মারকও সই হয়। এ বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘এই টাকায় কেবল যে ভারত থেকেই অস্ত্র কিনতে হবে; তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।’ ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে বিএনপি সমালোচনা করে আসছে। ভারতীয় অস্ত্র কেনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল তারা। শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহায়তা বাড়াতে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা; এই আছে।’