ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি করে বিএনপি ২০০২ সালে চীনের সঙ্গে

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৯ এপ্রিল ২০১৭

প্রথম প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি করে বিএনপি ২০০২ সালে চীনের সঙ্গে

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই করলেও বিএনপি সরকার প্রথম চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি সই করে। সে কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য কোন দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই এবারই প্রথম নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমঝোতা বা চুক্তি সইয়ে দ্বিতীয় দেশ ভারত। চীনের সঙ্গে বিএনপি সরকার প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করে। সূত্র জানায়, বিএনপি সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চীন সফরে যান। সে সময় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ‘এগ্রিমেন্ট অন কোঅপরেশন বিটুইন বাংলাদেশ এ্যান্ড চায়না অন মিলিটারি কোঅপরেশন’-শিরোনামে একটি চুক্তি সই হয়। ২০০২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সেই চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির মেয়াদ ছিল প্রথমবার ৫ বছর। পরবর্তীতে আরও ৫ বছরের জন্য এই চুক্তি নবায়ন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে অস্ত্র, সরঞ্জাম, ট্যাঙ্ক, ফ্রিগেট, সাবমেরিন ক্রয় করে। এছাড়া চুক্তিতে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়টিও রয়েছে। শনিবার দিল্লীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ‘ডিফেন্স কোঅপরেশন ফ্রেমওয়ার্ক’-শিরোনামে যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক সই করেছে, সে সমঝোতা অনুযায়ী দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা বিনিময়, সক্ষমতা অর্জন ইত্যাদি রয়েছে। চীনের সঙ্গেও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে একই ধরনের বিষয় ছিল। তবে বিএনপি সরকার সে সময় চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করলেও এবার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিএনপি। এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির গণমাধ্যমকে বলেছেন, ২০০২ সালে বিএনপি যখন চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছিল, তখন আওয়ামী লীগসহ অন্যদের জানায়নি। বিএনপি সরকার যেটা করেনি, আমরা সেটা করব। এ নিয়ে লুকোচুরির কোন প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরও বলেছেন, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত আমাদের সঙ্গে সব সময় ছিল, আছে, পরেও থাকবে। আমাদের সঙ্গে চীন আছে, ভারতও থাকবে। এ ক্ষেত্রে তো কোন ক্ষতি নেই। বিএনপি আর কিছু না পেয়ে এখন এসব প্রশ্ন তুলছে বলে তিনি জানান।
×