স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, একের পর এক জঙ্গী আস্তানা শনাক্ত করে তা গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের মূলোৎপাটন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেমন পুলিশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, পালিয়ে যায়নি। পালিয়ে না গিয়ে তারা পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ঠিক তেমনই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ডাকে সমস্ত পুলিশবাহিনী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। পুলিশ যে জনগণের জন্য কাজ করছে সে জন্যই জনগণকে পাশে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
জনগণ পুলিশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাদক হলো আরেক জঙ্গী, এটি তিলে তিলে মানুষকে শেষ করে দেয়। এটাকেও সকলে মিলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি মুন্সীগঞ্জে জেলা স্টেডিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে আপোসহীন। আগামী প্রজন্মকে সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তজার্তিকভাবে। বিশ্বের থিম ট্যাঙ্কের ১৩ তম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসে, তখন এদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৮শ’ ডলার বর্তমানে তা বেড়ে ১৬শ’ ডলারে পৌঁছেছে সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে খুব শীঘ্রই তা ৩ হাজার ডলারে উন্নীত হবে।
মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে অপশক্তি উন্নয়ন কর্মকা-কে ব্যাহত করতে না পারে- সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে মুখ্য আলোচক ছিলেন পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম।
বিশেষ অতিথির ভাষণ দেন এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা। মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব কোরান তেলাওয়াত করেন।
