ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদের বিস্তৃতিতে উদ্বিগ্ন এরশাদ, চান ইসলামী ঐক্য

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৩১ মার্চ ২০১৭

জঙ্গীবাদের বিস্তৃতিতে উদ্বিগ্ন এরশাদ, চান ইসলামী ঐক্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হঠাৎ করে জঙ্গীবাদের বিস্তৃতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জঙ্গীবাদের উত্থানের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি জঙ্গীবাদের বিরেুদ্ধে দেশের বিদ্যমান ইসলামী দলগুলোকে এক হয়ে কাজ করারও আহ্বানও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় ইসলামী মহাজোট’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ মহাজোটে দেশের ৩৪টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক জোট গঠন করবেন এরশাদ। ইসলামী দলসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট গঠনের কথা আছে। এর আগে ছোট দলগুলো নিজেদের মধ্যে জোট গঠন শুরু করে। আগামী মাসের শুরুর দিকে নতুন রাজনৈতিক জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেবেন এরশাদ। সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, ইসলাম সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে জিহাদের কথা বলা হয়েছে; কিন্তু এ জিহাদ হলো অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, মানুষ হত্যা নয়। জিহাদ এবং সন্ত্রাস এক নয়। কী কারণে দেশে সন্ত্রাস হচ্ছে? কেন আমরা অন্যায় করছি? কেন আমাদের সন্ত্রাসী বলা হচ্ছেÑ এসব চিন্তা করার সময় এসেছে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতির মাঠে আমরা কী চাই? স্বাধীনতার চেতনা, ইসলামী মূল্যেবোধ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সবাইকে নিয়ে একটি জোট করতে চাই। এটি হবে আরেকটি রাজনৈতিক মহাজোট। সবাইকে নিয়ে আরেকটি মহাজোটের যাত্রা শুরু করব। তার নেতৃত্ব যদি আমার হাতে দেন তাহলে আমি খুশি হব। আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের আশা পূর্ণ হবে। জাতীয় ইসলামী মহাজোটের ৩৪টি সংগঠনের মধ্যে রয়েছেÑ গণ ইসলামিক পার্টি, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টি, জাতীয় শরিয়া আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, ন্যাপ ভাসানী, খেলাফত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী গণআন্দোলন, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তুল ওলামা পার্টি, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ, ইনসানিয়াত পার্টি বাংলাদেশ, খেলাফত বাস্তবায়ন পার্টি, ইসলামী আকিদা সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, মুসলিম জনতা পার্টি, ইসলামী আকিদা সংরক্ষণ আন্দোলন, খেদমতে খালক পার্টি, ওলামা মাশায়েক সমন্বয় পরিষদ, ইউনাইটেড ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টি, ইসলামী সমাজ কল্যাণ আন্দোলন, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন, বাংলাদেশ খেলাফাতুল উম্মাহ, বাংলাদেশ আকিমুদ দ্বীন মজলিস ও বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট বই পার্টি। এ সময় জোটের পক্ষ থেকে কয়েকটি লক্ষ্যের বিষয়ে বলা হয়। জাতীয় ইসলামী মহাজোটের আহ্বায়ক আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহাজাদা প্রমুখ।
×