ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নশীল দেশের জন্য জরুরী

‘জিএমও’ পদ্ধতির ওপর গবেষণা ইনস্টিটিউট করছে এনএসইউ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩১ মার্চ ২০১৭

‘জিএমও’ পদ্ধতির ওপর গবেষণা ইনস্টিটিউট করছে এনএসইউ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘জিএমও’ পদ্ধতির ওপর গবেষণার লক্ষ্যে নতুন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, যার নাম হবে ‘জিনম রিসার্চ ইনস্টিটিউট’। মারাত্মক এনসিডি রোগসমূহ সহজে শনাক্ত ও সুচিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে আগামী মাসেই এ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী স্যার রিচার্ড জে রবার্টসের অংশগ্রহণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধাররা। রিচার্ড জে রবার্টস বলেছেন, জিএমও পদ্ধতি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য খুবই জরুরী। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে প্রচুর ফলন পাওয়া সম্ভব, যা মানুষ, জীব এবং উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বসুন্ধরার ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নোবেল বিজয়ী স্যার রিচার্ড জে রবার্টস তার গবেষণা ও জিএমও পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেন। কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বেনজির আহমেদ, উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহসান প্রমুখ। পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র ও জনসংযোগ উপ-পরিচালক বেলাল আহমেদ। স্যার রিচার্ড জন রবার্টস একজন ইংলিশ বায়োকেমিস্ট এবং মলিকিউলার বায়োলজিস্ট। তিনি ১৯৯৩ সালে ফিজিওলজি অথবা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বর্তমানে তিনি নিউ ইংল্যান্ড বায়োল্যাবসের (একটি বিশ্ববিখ্যাত জীববিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। যিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের (আইএবি) সদস্য হিসেবে গত বছর যোগদান করেছেন। সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে রিচার্ড জে রবার্টস বলেন, জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম হচ্ছে জেনিটিকালি মডিফাই করা কোন জীব, যার রদবদল করা হয়েছে জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির মাধ্যমে। জিএমওএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক ওষুধ উৎপাদন ছাড়াও বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে অন্যান্য পণ্য ও উন্নতমানের খাবার উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি বলেন, জিএমও পদ্ধতি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য খুবই জরুরী। কারণ এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে প্রচুর ফলন পাওয়া সম্ভব, যা মানুষ, জীব এবং উদ্ভিদ তথা সবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে ব্যক্তি, সমাজ তথা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের কাতারে। শিক্ষাদান আন্তর্জাতিকমানে আমরা উন্নীত করতে পেরেছি। ক্যান্সারসহ মারাত্মক এনসিডি রোগসমূহ সহজে শনাক্ত ও সুচিকিৎসার জন্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব অর্থায়নে একটি জিনম গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই আমরা তা করতে পারব বলে আশা রাখি। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাজের সঙ্গে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞাসী স্যার রিচার্ড জে রবার্টসকে পেয়ে আমরা গর্বিত।
×