ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরও সময় চায় হাব

হজের নিবন্ধনের সময়সীমা ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩১ মার্চ ২০১৭

হজের নিবন্ধনের সময়সীমা ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছর হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী উভয় ব্যবস্থাপনার হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন সম্পন্ন করে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বুধবার মন্ত্রণালয়ের শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরী প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে, গত ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হজ এজেন্সিস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতারা প্রাক নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম বর্জন করেন। হাবের মহাসচিব শেখ মোঃ আবদুল্লাহ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, ১০৯৭টি এজেন্সির কেউ নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২৮ ও ২৯ মার্চ দুইদিনে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি এজেন্সির ৮ হাজার ৪শ’ ৬৬ জন ও সরকারী ব্যবস্থাপনায় দুই হাজার ৫শ’ ৩০ জন নিবন্ধন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, চলতি বছর সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় মোট প্রায় এক লাখ ২৮ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুর হজে যাওয়ার জন্য কোটা নির্ধারিত রয়েছে। বুধবার জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারী ব্যবস্থাপনার প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম বছরব্যাপী চলমান আছে। প্রাথমিক তালিকায় নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত কোটার দুই লাখ ১৭ হাজার ২শ’ ৮৮ নং ক্রমিকের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রাক নিবন্ধিত হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্ব স্ব এজেন্সির মাধ্যমে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে হজযাত্রীদের অনুকূলে নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধনে ব্যর্থ হলে হজনীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সময়ের মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধন সার্ভার উন্মুক্ত থাকবে। তবে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ এনে হাব হজযাত্রী নিবন্ধন না করার ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ ঘোষণা দেয়। সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম বাহার জানান, ধর্মসচিব তার ইচ্ছামতো সময় বাড়ান কমান। আমাদের দাবির প্রতি কোন তোয়াক্কা করছেন না। আমাদের দাবি, আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হোক যাতে ইতোপূর্বের জটিলতা নিরসন করা যায়। চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৮ মার্চ। বেসরকারী প্রাক-নিবন্ধনের সিরিয়াল ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ পর্যন্ত চলতি বছরের নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ২০৬টি এজেন্সির ৮ হাজার ৪৬৬ জন এবং সরকারী ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৫৩০ জন নিবন্ধনের জন্য ডাটা এন্ট্রি করেছেন। এবার বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি তাদের ব্যাংক হিসাবে নিবন্ধন ভাউচারের মাধ্যমে প্রতি হজযাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া বাবদ এক লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা জমা দিতে হবে। হজ এজেন্সি টিকেটের টাকা অন্য কোন কাজে উত্তোলন করতে পারবে না। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিবন্ধন কার্যক্রমে নির্বাচিত ব্যাংকগুলো সরকার নির্ধারিত অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে হজযাত্রীদের নিবন্ধন সম্পন্ন করছে। যারা নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হবেন তাদের ক্ষেত্রে কোটা পূরণের জন্য জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুসরণ করা হবে। সরকারী নির্ধারিত সিরিয়ালের বাইরে কারও কাছ থেকে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। সিরিয়ালের সীমাবদ্ধতার (২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ পর্যন্ত) কারণে সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোন হজ এজেন্সির ন্যূনতম ১৫০ জনের হজযাত্রীর কোটা পূরণ না হয় তবে তারা হজ নীতি অনুযায়ী লিড এজেন্সি নির্ধারণ করবে। স্থানান্তরিত হজযাত্রীদের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব লিড এজেন্সি গ্রহণ করে নিবন্ধন করবে। সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের নির্বাচিত প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
×