ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়া নির্মিত হয়েছে স্থায়ীত্বশীল বেড়িবাঁধ

প্রকাশিত: ০১:৪৯, ৩০ মার্চ ২০১৭

কলাপাড়া নির্মিত হয়েছে স্থায়ীত্বশীল বেড়িবাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ নিত্যদিনের দুর্ভোগ কেটে গেছে। বর্ষার পুরো মৌসুমে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাড়ি-ঘর থেকে শুরু করে ঘরের চৌকি পর্যন্ত ডুবে যেত। রান্নার চুলা পর্যন্ত ডুবে থাকত লোনা পানিতে। রাত কাটত নির্ঘুম। সন্তান-সন্তুতি নিয়ে দুবেলা দুমুঠো ডালভাত পেটে পুরে নিশ্চিন্তে দুচোখের পাতা এক করতে পারত না। অধিকাংশই শমজীবী মানুষ। এদের সকলের বাস বঙ্গবন্ধু কলোনীতে। এসব মানুষের এখন কেটে গেছে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা। নির্বিঘ্নে সন্তানদের পাঠাতে পারছেন স্কুলে। নিজেরা স্বস্তিতে যাচ্ছেন কর্মস্থলে। ফিরছেন বাড়িতে। আন্ধারমানিক নদীর কোলঘেষে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু কলোনীর ১৯৫টি পরিবারের সেই উৎকন্ঠা কেটে গেছে। দুর্যোগের ঝুঁকিতে প্রতিনিয়ত পতিত এ মানুষগুলোর জীবনে স্বস্তি এনে দেয় একটি টেকসই আধুনিক বেড়িবাঁধ। স্থায়ীত্বশীল এ বাঁধটি নির্মান করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস। আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থ্ াকর্ডএইড-নেদারল্যান্ড এর আর্থিক এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় এ বাঁধটি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কলোনীর তিনদিকে বেড়িবাঁধটি করা হয়েছে। বাঁধটির স্থায়ীত্বশীলতার জন্য জন্য ব্যবহার করা হয়েছে জুট ম্যাট, বাশের বেড়া। পানি নিস্কাশনের জন্য নির্মান করা হয়েছে স্লুইসগেট। লাগানো হয়েছে মাটির ক্ষয়রোধকারী ঘাস। এরই মধ্যে লাগানো ফলজ ও বনজ গাছ। শুধু তাই নয় বেড়িবাধেঁর ওপর চাপ কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি বাইপাস মাটির রাস্তা। কলোনীর বাসিন্দা জুলহাস জানান, বছরের পর বছর জোয়ারের পানিতে বন্দী ছিল তাদের জীবন-যাত্রা। বেড়িবাঁধটি নির্মাণে তাদের জীবনে পরিবর্তনের ছোয়া বইছে। স্বস্তি এসেছে সকলের মনে। কেটে গেছে অস্বাভাবিক জোয়ারের নিত্য আতঙ্ক। টিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মো. ফকরুল হাসান, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুব রাব্বানী, কারিতাস বরিশালের অঞ্চলিক পরিচালক ফ্রান্সিস বেপারী প্রমূখ।
×